এইচ ডি কুমারস্বামী জানান, রাজ্যের মানুষের সমর্থন জেডিএসের সঙ্গে ছিল না।
বেঙ্গালুরু:
কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী রবিবার বলেন যে, তিনি কংগ্রেসের ‘দয়া’তে এই পদটি পেয়েছেন, কর্ণাটকের 6.5 কোটি জনগণের জন্য নয়। বিধানসভা নির্বাচনে সরকার গড়তে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আসন পায়নি তাঁর দল। জনাদেশ সম্পূর্ণভাবে ছিল না তাদের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিল্লী দেখা করার আগে তিনি ফের বলেন, নির্বাচনের আগে কৃষক ঋণ মকুব করার যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে তাঁর কাছে সেটিকে বাস্তবায়িত করার পরিকল্পনাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই প্রতিশ্রুতি রাখতে না পারলে তিনি পদত্যাগ করবেন বলেও জানিয়েছেন।
তিনি এর সঙ্গে সাধারণ মানুষকে এটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেনি। এর মানে হল, মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছিল।
“এই রাজ্যের মানুষ আমাকে এবং আমার দলকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। আমি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা চেয়েছিলাম। আমি কৃষক নেতাদের বক্তব্য মন দিয়ে শুনেছি। তাঁরা আমাকে অনেকটাই সমর্থন করেছেন”। বলেন কুমারস্বামী।
“আমার সরকার কোনও স্বাধীন সরকার নয়। আমি মানুষকে অনুরোধ করেছিলাম, তাঁরা যেন আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনেন, যাতে একমাত্র মানুষের কাছে ছাড়া আর কারও কাছেই আমাকে জবাবদিহি করতে বাধ্য না হতে হয়। কিন্তু, আজ আমি কংগ্রেসের দয়ার উপর নির্ভরশীল। রাজ্য 6.5 কোটি জনগণের চাপ আমার উপর নেই”। বলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজনীতিবিদ হিসাবে তাঁর কিছু বাধ্যবাধকতা আছে। তবে, কৃষক ঋণ মকুবের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার কথাই জানান তিনি।
বিজেপি এবং অন্যান্য কৃষক নেতাদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন কৃষক ঋণ মকুবের ব্যাপারে কোনও কৃষকসভার তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করার কোনও প্রয়োজন নেই।
“কৃষকদের হয়ে কাজ করার জন্য আমি আপনাদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে রয়েছি। কৃষক ঋণ মকুবের ব্যাপার নিয়ে আমাকে পদত্যাগ করতে বলার কোনও প্রয়োজন নেই। আমি এই কাজ করতে ব্যর্থ হলে নিজেই সরে যাব। কৃষক ঋণ মকুব এই মুহূর্তে আমার একমাত্র অগ্রাধিকার। আপনারা কি একটা সপ্তাহও অপেক্ষা করতে পারছেন না? মন্ত্রীসভাই গঠিত হয়নি এখনও”। বলেন কুমারস্বামী।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)