কুমারস্বামী সরকারের পতন। (File)
নিউ দিল্লি: কর্নাটক বিধানসভায় আস্থা ভোটে হারায় পতন হয়ে গেল এএইচডি কুমারস্বামী এবং কংগ্রেসের জোট সরকারের। জোট সরকারের পক্ষে পড়েছে ৯৯টি ভোট, অন্যদিকে, ১০৫টি ভোট পড়েছে বিজেপির পক্ষে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে, পদত্যাগ করছেন ১৬জন বিধায়ক এবং সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছেন দুজন নির্দল বিধায়ক। ফলে গত সপ্তাহ থেকেই আস্থা ভোট থেমেছিল কর্নাটকে। মঙ্গলবার আস্থা ভোটের কয়েকঘন্টা আগেই, সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দুজন নির্দল বিধায়ককে জোট সরকারের পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কংগ্রেস। তারা আগেই দলত্যাগ করেছিল।
এর আগে, কর্নাটকের জোট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এএইচডি কুমারস্বামী বলেন, “বিশেষ করে এই বিতর্কের শেষ নিয়ে” চিন্তিত নন তিনি। আবেগপ্রবণ হয়ে কুমারস্বামী বলেন, “এসবের থেকে... তিনি খুশি মনে” ছেড়ে দেবেন।তাঁর কথায়, “আমি সৌজন্যের সঙ্গে কাজ করেছি। শেষ ১৪ মাসে ‘তারা থাকবে না যাবে', এই অবস্থা ছিল-এবং আমি আমার দলের নেতার ধন্যবাদ জানাই, সবকিছুর সঙ্গে থাকার জন্য। জোট সরকারের প্রথম দিন থেকেই আমাদের নিয়ে আপত্তি আসতে থাকে”।
আস্থা ভোটের জন্য সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হলেও, বিতর্কের সময় ট্রেজারি বেঞ্চ ফাঁকা থাকতে দেখে, দুঃখের সঙ্গে একটি মন্তব্য করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ কেআর রমেশ কুমার। তিনি বলেন, “এটাই কি অধ্যক্ষ বা বিধানসভার ভাগ্য ছিল”? এরপরেই কুমারস্বামী বলেন, “আপনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন, নিজের ক্ষমতা ছাড়ুন”।
তাঁদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের নোটিশ নিয়ে অধ্যক্ষের থেকে সময় চেয়ে চিঠি লেখেন ১৩ জন বিদ্রোহী বিধায়ক। সংবাদসংস্থা এএনআই অনুসারে, চিঠিতে লেখা হয়েছে, “আপনি জানেন, ১৯৮৬-এর বহিষ্কার আইন অনুযায়ী, ৭ দিনের সময়সীমা প্রয়োজন হয়। তারপরেও, কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত।এই পরিস্থিতিতে হাজির হওয়ার জন্য আমি আপনার থেকে চার সপ্তাহের সময়সীমা চাইছি”।
সোমবার, বিধাচকদের বক্তব্য ছোটো করতে বলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ।তারপরেই ব্যাপক হট্টগোল হয়। তারমধ্যেই, একটি নথি সবাইকে দেন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, তাঁর দাবি মতো, যেটি ছিল বিরোধীদের মধ্যে বিলি করা ভুয়ো পদত্যাগপত্র। প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত সবার কাজ চলার পর, ২০ জন বিধায়কের বক্তব্য রাখা বাকি অবস্থাতেই বিধানসভার কাজ মুলতুবি করা হয়।