This Article is From May 20, 2018

কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ বুধবার, আমন্ত্রিত রাহুল গান্ধী, মায়াবতী ও মমতা

প্রথমে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সোমবারে হবার কথা ছিল কিন্তু ওই দিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুদিন পড়ে যাওয়ায় পিছিয়ে সেটি বুধবার হয়

কুমারস্বামী জানান যে কংগ্রেস এবং জেডি(এস) একসাথে বসে সুন্দরভাবে সরকার চালনার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা ঠিক করবে

বেঙ্গালুরু: শনিবার সন্ধ্যায় রাজ্যপাল বজুভাই বালার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করতে চলেছেন জেডি(এস)-এর এইচ ডি কুমারস্বামী। এদিন রাজ্যপালের প্রথম এবং বিতর্কিত নির্বাচিত প্রার্থী ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফার পরে রাজভবনে যান কুমারস্বামী এবং সেখানেই স্থির হয় কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট প্রার্থী হিসেবে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন তিঁনি। তিঁনি জানান যে তিঁনি বুধবার শপথের দিন স্থির করেছেন এবং সম্ভবত আমন্ত্রিতদের তালিকাও তাঁর কাছে তৈরি ছিল।

জেডি(এস) নেতা আগামী বুধবার তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী এবং আরো অনেককেই।

প্রথমে এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি সোমবারে হবার কথা ছিল কিন্তু ওই দিন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর মৃত্যুদিন পড়ে যাওয়ায় পিছিয়ে সেটি বুধবার হয়।

কুমারস্বামী আরো জানিয়েছেন যে তিঁনি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এবং তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীকেও নিমন্ত্রণ জানাবেন।

"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু, চন্দ্রশেখর রাও আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। মায়াবতীজিও আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। আমি সমস্ত আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দকে আমার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমি সোনিয়া গান্ধীজি এবং রাহুল গান্ধীজি কেও ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছি" বেঙ্গালুরুতে রাজ্যপালের সঙ্গে মিটিংয়ের পর বললেন কুমারস্বামী।

তিনি আরো জানান যে আজ রাতে কংগ্রেস এবং জেডি(এস) একসাথে বসে সুন্দরভাবে সরকার চালনার জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ কি হবে তা ঠিক করবে। সূত্রের খবর যে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদটি দেওয়া হবে কংগ্রেসকে।

বিজেপি এবং ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফা সম্পর্কে ব্যঙ্গ করে তিনি বলেন যে কংগ্রেস-জেডি(এস) একজোট হয়ে একটি সভা ডেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমান করবে। "আমাদের 15 দিন সময়ের প্রয়োজন নেই" বললেন তিঁনি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর রাজ্যপালের ইয়েদুরাপ্পাকে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ এবং তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য 15 দিন সময় দেওয়ার প্রতিবাদে কংগ্রেস এবং জেডি(এস) একটি পিটিশন দায়ের করে যাতে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আজই আস্থা ভোটের নির্দেশ দেয়। কিন্তু হার নিশ্চিত জেনে আস্থা ভোট না করেই ইস্তফা দিলেন ইয়েদুরাপ্পা।

ইয়েদুরাপ্পার ইস্তফা কংগ্রেস এবং জেডি(এস) কে একজোট হতে আরো একধাপ এগিয়ে দিল। দুটি দল একত্রে 117 জন এমএলএ-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গঠন করতে চলেছে নতুন কর্ণাটক সরকার।
.