কলকাতা: ১৬ জানুয়ারি ২৪ তম বিবাহবার্ষিকী পালনের সঙ্গে আইনি বিয়ে। ১৭ জানুয়ারি সন্ধেয় আমরির ICU-তে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি Dipankar Dey। স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন দীর্ঘ ২৪ বছরের সঙ্গিনী দোলন রায়। টলিপাড়া উদ্বিগ্ন ছিল প্রবীণ এই অভিনেতার অসুস্থতা নিয়ে। টানা তিনদিন চিকিৎসকদের কড়া নজরদারিতে থাকার পর অবশেষে ২০ জানুয়ারি বাড়ি ফিরলেন টিটোদা। স্বস্তির হাসি অনুরাগীদের মুখে। মেঘ কেটেছে দোলন রায়ের মনেরও। ফোনে জানিয়েছিলেন, সোমবার হয়ত অবস্থা বুঝে দীপঙ্করকে ছুটি দিতে পারেন ডাক্তারবাবুরা। সেইমতো নির্দিষ্ট দিনেই বাড়ি ফিরেছেন প্রবীণ অভিনেতা। আগামী সপ্তাহে আবার তাঁকে পরীক্ষানীরিক্ষার জন্য যেতে হবে হাসপাতালে। জানিয়েছেন অভিনেতার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। প্রথমে তাঁকে ICU-তে রাখা হলেও পরে সেখান থেকে সরিয়ে শনিবার তাঁকে জেনারেল বেডে দেওয়া হয়। শনিবার স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়াও করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৬ জানুয়ারি সকাল থেকেই তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উদ্বিগ্ন দোলন রায় তাই অনুষ্ঠানটি বাতিল করার কথাও ভেবেছিলেন বলে খবর।
বৃহস্পতি রাতে, বাইপাস লাগোয়া হাইল্যান্ড পার্কের একটি রেস্তোরাঁয় ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে আইনি বিয়ে সারেন দীপঙ্কর-দোলন। ২৪ বছর আগে তাঁদের সামাজিক বিয়ে হয়ে গেছিল। বিবাহবার্ষিকীর পাশাপাশি আইনত স্বামী-স্ত্রী হন তাঁরা। যদিও তাঁদের সম্পর্কের কথা অজানা ছিল না টলিপাড়ায়। ঘরোয়া অনুষ্ঠান হলেও দু'জনেই সেজেছিলেন বাঙালি বর-বধূ বেশে। ৭৫-এও শৌখিন দীপঙ্কর সেজেছিলেন ধাক্কাপাড় ধুতি, পাঞ্জাবি আর কাজকরা সাদা শালে। ৪৯-এর দোলন লাল বেনারসী-গয়না-লাল গোলাপে সলাজ কনে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সৌমিত্র মিত্র, ধ্রুব কুণ্ডু, শীর্ষ সেন, সাংবাদিক রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দোলনের ভাই দুর্গাশিস রায়।
অসুস্থতার খবর ছড়াতেই দোলন জানান, "গতকাল অর্থাৎ বিবাহবার্ষিকীর দিনেও শ্বাসকষ্ট ছিল আপনাদের দাদার। গত মাসে নিউমোনিয়ার সংক্রমণ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন আমরিতে। টানা চিকিৎসার পর সুস্থও হয়ে ওঠেন। পরের দিন সকাল থেকে ফের অসুস্থ তিনি।" অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিনই সন্ধেয় কাদাপাড়া আমরি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি করা হয় অভিনেতাকে।
বিবাহ-বার্ষিকীতে ‘শুধু তোমাকেই চাওয়া' কৌশিকের
ওই দিনই দোলন বিকেলে জানিয়েছিলেন, "অ্যাপেক্স হাসপাতালে দীপঙ্কর দে-র প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। এরপর তাঁকে দেখবেন ডা. অংশুমান মুখোপাধ্যায়। তাই দীপঙ্করবাবুকে নিয়ে যাওয়া হবে চেম্বার হলে।" পাশাপাশি, দুঃখের সঙ্গেই জানান দোলন, "আমার কপালে সুখ একেবারেই সহ্য হয় না। কপালটাই আমার এরকম।"