অরবিন্দ দাবি করেছিলেন, বৃদ্ধির প্রকৃত মান ৪.৫ শতাংশ।
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মণ্ডলীর তরফে জানানো হল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়ম (Arvind Subramanian) নিজেই জানিয়েছেন দেশের বৃদ্ধির (GDP) ঘোষিত অঙ্ক বাড়িয়ে বলা হয়েছে কিনা সে সম্পর্কে তিনি ‘অনিশ্চিত'। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, ওই হিসেবের বিস্তৃত পরীক্ষার পরে তাঁর যুক্তিকে ধাপে ধাপে খণ্ডন করা হবে। মঙ্গলবার মঙ্গলবার Indian Express সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক প্রবন্ধে সুব্রমনিয়ম দাবি করেন, ইউপিএ-২ ও এনডিএ-১ আমলে অর্থাৎ ২০১১-১২ ও ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে ভারতের গড় বার্ষিক বৃদ্ধি সম্ভবত ছিল ৪.৫ শতাংশের মতো। ঘোষিত সাত শতাংশ নয়। নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মণ্ডলীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হল, ‘‘অরবিন্দ সুব্রমনিয়ম CEA হিসেবে কাজ করে যে ইস্যুগুলি তুলেছেন, তা তাঁর নিজের সময়েরই। ভারতের বৃদ্ধির অঙ্ক বুঝতে তাঁর সময় লেগেছে। এবং তিনি এখনও অনিশ্চিত।''
অর্থনৈতিক বৃদ্ধি বেশি বলা হয়েছে, মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টার দাবির উত্তরে কী জানাল কেন্দ্র
গত সন্ধ্যায় পরিসংখ্যান মন্ত্রক প্রদত্ত ব্যাখ্যার কথাও ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অঙ্ক নির্ধারিত হয় ‘গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি, প্রণালী ও লভ্য তথ্য'র নিরিখে।'কাউন্সিলের তরফে যুক্তি দিয়ে বলা হয়েছে, অরবিন্দ সুব্রমনিয়ম cross-country regressions পদ্ধতির সাহায্যে জিডিপির মান নির্ণয় করেছেন, যা অত্যন্ত অপ্রচলিত পদ্ধতি। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ross-country regressions পদ্ধতির সাহায্যে জিডিপির মান নির্ণয় খুবই অপ্রচলিত একটি পদ্ধতি।
বাজেটে কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়ার ভাবনা নেই কেন্দ্রীয় সরকারের
কেননা কোনও দেশের জিডিপিকে রিগ্রেশন বা পশ্চাদপশরণের মাধ্যমে নির্ণয় করা সংশয়াচ্ছন্ন। যে প্রক্সি ইন্ডিকেটর উনি ব্যবহার করেছেন, সেগুলিন নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। উৎপাদনগত লাভের উপরে জিডিপির মান নির্ণয় করা হয়নি।'' ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘একটি দেশের জিডিপি ন্যূনতম শর্ত মেনে নির্ণিত হয় এবং তার মান নির্ধারণ করার জন্যও স্বল্প অঙ্কের উপরেই সেটা নির্ণয় করতে হয়। প্রকৃত বৃদ্ধির হারের উপরে নির্ভর করে নয়।''