এক আধবার মরা মায়ের দুধ খাওয়ারও চেষ্টা করে শিশুটি।
কোনওদিন জাগবে না আর.....মা কোনওদিন জাগবে না আর। তবে শিশুমন তো বোঝে না। মা গণ্ডারকে হারিয়ে শাবকও তো কাঁদে, যেমন কাঁদতে অভ্যস্ত মানবশিশুরা! এমনই এক ভিডিও ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, পশু শিকারের অমানবিক দিকটি। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে শিং ভাঙা মৃত মাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে গণ্ডার শাবক (video of a baby rhino)। পশুশিকারী (poachers) ও চোরাচালানকারীদের বন্যপ্রাণি শিকারের কুৎসিত সত্যকে সামনে এনে দিয়েছে এই ভিডিও। গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকাতে তোলা এই ভিডিওটি মঙ্গলবার ভারতীয় বন পরিষেবা কর্মকর্তা পারভীন কাসওয়ান (Indian Forest Service officer Parveen Kaswan) টুইটারে শেয়ার করেছিলেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মাটিতে পড়ে রয়েছে মৃত মা গণ্ডার, কোনও সাড়া না পেয়ে বাচ্চা গণ্ডারটি বারেবারে মাকে ঠেলে জাগানোর চেষ্টা করছে। এক আধবার মরা মায়ের দুধ খাওয়ারও চেষ্টা করে শিশুটি।
ব্রিজ থেকে নদীতে গায়েব হচ্ছে একের পর এক গাড়ি? ভাইরাল ভিডিও দেখে চোখ কপালে নেটিজেনদের
কাসওয়ানের মতে, শিশু গণ্ডারটির থেকে সেই সময় দূরে ছিল মা গণ্ডার, এবং সম্ভবত গণ্ডারের বিখ্যাত শিংয়ের জন্যই তাকে মেরে ফেলে শিকারীরা। ভিডিওটি শেয়ার করে তিনি লেখেন, “শিকারের ছবি! একটি শিশু গণ্ডার তার মৃত মাকে জাগানোর চেষ্টা করছে। মা গণ্ডারকে মেরে ফেলেছে পশুশিকারীরা। মর্মান্তিক এবং চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো ঘটনা।”
ভিডিও ব্যাপকভাবে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। বহু মানুষই চোরাশিকারীদের এমন অমানবিকতার বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এবং অনেকেই এই গণ্ডার শাবকের কান্না দেখে নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি।
দেখুন, ক্যামেরার সামনে মালিকের সঙ্গে কেমন পোজ দিল পোষা সিংহ!
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের মতে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি জাতীয় উদ্যানে পাওয়া যায় এই গণ্ডারের দেহ। মারা যাওয়ার বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই এই মা গণ্ডারের শিংটি ভেঙে নেয় পশুশিকারীরা। শিশু গণ্ডারটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি দিয়ে শান্ত করে কর্তৃপক্ষ এবং তারপর ওই গণ্ডার শাবককে গণ্ডারদের অনাথআশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই কর্মীরা তার নামকরণ করেন শার্লট (Charlotte)।
সেভ দ্য দ্য রাইনো (Save The Rhino) সংস্থার মতে, বিশ্বজুড়ে সমস্ত গণ্ডারের প্রায় ৮০% রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাতে এবং কেবল ২০১৮ সালেই ৭৬৯ টি চোরাশিকারের ঘটনা ঘটেছে।
Click for more
trending news