গত সপ্তাহে বিহারে একদিনে ৬০ জনেরও বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে।
পটনা: বিহারে(Bihar) তীব্র তাপ্রবাহে শনিবার পর্যন্ত ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রকৃতির রোষে এতগুলো প্রাণহানির পর কঠোর নিয়ম আনল রাজ্য সরকার। দিনের বেলায় কোনও জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। একটি বিবৃতি জারি করে, ১৪৪ ধারা জারি করেছে গয়া (Gaya) প্রশাসন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে এই নিয়ম জারি করা হলেও, এই মহুর্তে সাধারণ মানুষের ঘরের বাইরে বেরোনো থেকে দূরে রাখতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বিহারের(Bihar) যে সমস্ত এলাকাগুলিতে পরিস্থিতি খুব খারাপ, তারমধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা গয়ার(Gaya)। ঔরঙ্গাবাদ এবং নওদা থকেও মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহে ঔরঙ্গাবাদ থেকে ২৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চার শহরে রেকর্ড তাপমাত্রা, সবচেয়ে ভয়ানক তাপপ্রবাহের সাক্ষী দেশ
একটি বিবৃতি জারি করে গয়া(Gaya) প্রশাসন জানিয়েছে, সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাইরে কোনও কাজ করা বা করানো চলবে না, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় নির্মাণকার্যের ওপরেও।জেলা প্রশাসনের প্রধান অভিষেক সিং নির্দেশিকায় বলেছেন, “এমজিএনআরজির অধীনে সকাল ১০.৩০-এর পর কোনও কাজ করা চলবে না”। গয়ায় (Gaya) তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষের মৃত্যুর ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। ওই সময়ের মধ্যে কাউকে বাইরে বেরোতেও নিষেধ করেছেন তিনি।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বের সবচেয়ে উষ্ণ ১৫টি জায়গার মধ্যে ৮টি-ই ভারতের
এবারে মরশুমে সবচেয়ে বেশী তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে ভারত। উত্তর ভারতের চারটি শহরে তাপপ্রবাহ রেকর্ড ছুঁয়েছে। ৪৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে, দিল্লি, রাজস্থানের চুরু, বান্দা, এবং উত্তরপ্রদেশে এলাহাবাদ। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি ছুঁলে এবং পরপর দুদিন তারবেশী যদি তাপমাত্রা থাকে, তাহলেই তাপপ্রবাহ বলা হয়। তাপপ্রবাহ “তীব্র” বলা হয়, যদি তা ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে যায়।
তীব্র গরমের সঙ্গে সঙ্গে বিহারের মুজফ্ফরপুরে দেখা দিয়েছে এনসেফেলাইটিস।গত ১৬ দিনে সেখানে ১০০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এনসেফেলাইটিসে।