গুরুগ্রামে ১৫০০০ টাকার স্কুটির জন্য দিতে হবে ২৩০০০ টাকার জরিমানা
হাইলাইটস
- চালকের মতে পুলিশ তৎপরতার সাথে চালান কাটে
- স্কুটি চালক জরিমানা কম করার আর্জি জানিয়েছেন
- হোয়াটস্যাপ করে তাকে আরসি-র কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল
নিউ দিল্লি: ঘটনাটি গুরুগ্রামের। এক স্কুটি চালককে ট্রাফিক পুলিশ ২৩,০০০ টাকার চালান কাটে। ট্রাফিক পুলিশের কথানুসারে চালকের কাছে হেলমেট, রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেট, গাড়ির বীমা, দূষণের কাগজ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত ছিল না। যার ফলে নতুন আইন অনুসারে তাকে সব মিলিয়ে ২৩,০০০ হাজার টাকার চালান কাটে পুলিশ। কিন্তু স্কুটি চালক চাইছে তার জরিমানা কম করে দেওয়া হোক, কারণ তার মতে স্কুটির বর্তমান মূল্য ১৫০০০ টাকার বেশি হবে না।
হেলমেট ছাড়া গুরুগ্রামের রাস্তা দিয়ে স্কুটি চালিয়ে যাচ্ছিল দীনেশ মদন নামক এই ব্যক্তি, ট্রাফিক পুলিশের কর্মীরা তার পথ অবরুদ্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় একে একে তার কাছ থেকে সমস্ত কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়। কিন্তু দেখা যায় তার কাছে কোনো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তো ছিলই না, এমনকি তার কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত ছিল না। যার ফলে ট্রাফিক পুলিশ নতুন নিয়মানুসারে এতটুকু দেরি না করে ২৩ হাজার টাকার চালান কেটে দেয়। সে চালানের অর্থ ভরতে না পারায়, তার স্কুটি জমা করে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে দীনেশ মদন জানিয়েছে, ট্রাফিক পুলিশ জরিমানা স্বরূপ ২৩ হাজার টাকা চালান কেটেছে। সে স্বীকার করেছে যে, তার কাছে হেলমেট, রেজিস্ট্রেশান সার্টিফিকেট ছিল না। পুলিশ তার কাছ থেকে গাড়ির চাবি চাইলে সে তা দিতে অস্বীকার করে। যাতে করে পুলিশের পক্ষ থেকে সঙ্গে সঙ্গে চালানের প্রিন্ট আউট বার করে তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয় ও তার গাড়ি জমা করে নেওয়া হয়।
দীনেশ মদনের মতে তার স্কুটির বর্তমান মূল্য প্রায় ১৫০০০ টাকা হবে। তিনি জানিয়েছেন যে, তার বাড়ির থেকে হোয়াটস্যাপ করে তাকে আরসি-র কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু ততক্ষণে পুলিশ চালান কেটে ফেলে। মদন তার জরিমানা কম করার জন্য আর্জি জানাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, এবার থেকে তিনি সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখবেন।
VIDEO : নতুন নিয়ম আসার সাথে সাথে প্রথম দিনই দিল্লিতে ৩৯০০ টাকার জরিমানা