Kerala floods: ভারী বৃষ্টির পর কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান চলাচল স্থগিত
নয়া দিল্লি:
লাগাতার ভারী বৃষ্টির কারণে ক্রমশই খারাপ হচ্ছে কেরলের সামগ্রিক অবস্থা, সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে কোচির (Kochi)। রবিবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত কেরলের কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (Cochin International Airport ) বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে, জানিয়েছেন বিমানবন্দরের আধিকারিকরা। পেরিয়ার নদীর জলস্তর এবং বিমানবন্দরের নিকটবর্তী একটি ক্য়ানেলের জলস্তর ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই বন্যা পরিস্থিতিতে (Kerale floods ) কমপক্ষে ৬ জন মারা গেছেন; তবে কেরলের সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী কেরলে আগামী কয়েকদিন আরও ভারী থেকে খুব ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ওয়ানাড, ইদুক্কি, মালাপ্পুরম এবং কোজিকোড, ওই চারটি জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে কেরল সরকার। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এবং নিজে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যের তদারকি করেছেন ও সরকারি আধিকারিকদেরও সে বিষয়ে তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেখে নিন এ সম্বন্ধে ১০ টি তথ্য়:
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওয়ানাডের একটি চা বাগানে ভূমিধস নামে এবং সেখানকার শ্রমিকদের অনেকগুলি বাড়ি ভেসে গেছে বৃষ্টির জলের তোড়ে। কমপক্ষে ১৫০ জন ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়েছে এবং ২০০ জন আহত হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ৬০ জনকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে, মিলেছে ২২ জনের মৃতদেহও। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন উদ্ধার অভিযানে ১২ ঘণ্টাও সময় লাগতে পারে। সেনা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) এবং দমকল বিভাগের কর্মীরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
ওয়ানাডে একাধিক ভূমিধসের কারণে উদ্ধারকাজ চালাতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। উদ্ধারকারীদের ধ্বংসাবশেষের আশেপাশে চলাচল করতে অসুবিধা হচ্ছে, সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২০ বছরে ওই অঞ্চল কোনও ভূমিধসের মতো ঘটনা ঘটেনি।
দক্ষিণের ওই রাজ্যের (Kerale floods ) ১৪ টি জেলায় বৃহস্পতিবার স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মালাপ্পুরমের নীলামপুর গ্রামটিতে একাধিক ভূমিধসের ফলে ওই এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং সেখানে জলস্তর দ্রুত বাড়ছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী এবং এনডিআরএফের দলগুলি এই এলাকায় কাজ করছে।
কোচি বিমানবন্দরের (Cochin International Airport ) অধিকাংশ অঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পরে কোচি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর লিমিটেড (সিআইএএল) তার ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে, ফ্লাইট চলাচল বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
কেরলের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যার্ত অঞ্চল (Kerale floods ) থেকে প্রায় ২২,০০০ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ৩১৫ টি শিবিরে তাঁরা বর্তমানে ঠাঁই পেয়েছেন।
৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া ও সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পাাঠানমথিত্তা, কোট্টায়াম, ইদুক্কি, এরনাকুলাম এবং ত্রিশূরে।
কেরল সরকারের পক্ষে থেকে কেন্দ্রকে এনডিআরএফের আরও দশটি দল সে রাজ্যে প্রেরণ করতে বলেছে। তার মধ্যে সাতটি দল বৃহস্পতিবার পৌছবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইডুক্কিতে ইতিমধ্যে একটি এনডিআরএফ দল এসে পৌঁছেছে।
"আমরা প্রস্তাব দিচ্ছি যে আপনার যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঠিকঠাক রাখতে আপনার ফোনটি চার্জ দিয়ে রাখুন,স্থানীয়রা সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ অনুসরণ করুন এবং আপনাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার বা আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তাঁদের নির্দেশ মেনে চলুন", ট্যুইট করেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
রাহুল গান্ধি ট্যুইট করেছেন এই বলে যে, "আমার সংসদীয় আসন ওয়ানাডে বন্যা পরিস্থিতি (Kerale floods ) মারাত্মক আকার নিয়েছে। আমি পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রাখছি এবং ত্রাণ ত্বরান্বিত করার জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধান সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি" ।
Post a comment