আগামী দু’দিন রাজ্যে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির আশঙ্কা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বেশি বৃষ্টি হবে। মধ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে এ রাজ্য পর্যন্ত আসা অক্ষরেখা, ঘূর্ণাবর্ত এবং বর্ষারেখা সক্রিয় থাকাতেই প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । বৃষ্টির সঙ্গেই বইবে ঝড়ো হাওয়া। আর তাই আপাতত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে আবহাওয়া পরিস্থিতি না জেনে সমুদ্রে গিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই আর বাড়ি ফেরা হয়নি। এবার তাই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে।
এখন ভরা বর্ষা। আর তারই মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। এ ব্যাপারে তিনটি কারণের উল্লেখ করেছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। প্রথমেই বলা হয়েছে মধ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা অক্ষরেখার কথা। সেখান থেকে এসে সেটি রাজ্যে ঢুকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। আর তার ফলে প্রচুর পরিমাণে মেঘ জমতে শুরু করেছে আকাশে। তাছাড়া গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। বৃষ্টির এই দুটি কারণেরর সঙ্গে বলা হয়েছে বর্ষারেখার সক্রিয়তার কথাও। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে বর্ষারেখা এখন পুরুলিয়া ও দিঘার কাছে অবস্থান করছে। এই তিনটিই বৃষ্টির গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে অনুমান হাওয়া অফিসের। শুধু বৃষ্টি নয় আছে ঝড়ের সম্ভবনাও। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘণ্টায় 35 থেকে 45 কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় হতে পারে। উপকূল এলাকায় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় 55 কিলমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। গোটা রাজ্যেই কম বেশি বৃষ্টির কথা বলা হয়েছে। কিন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে।
এমন পূর্বাভাসের কথা জানতে পেরে চিন্তিত রাজ্য প্রশাসন। কোনও রকম সমস্যা হলে তা মোকাবিলা করতে আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছে নবান্ন। তাছাড়া প্রতি মুহূর্তে আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে সমন্বয়ও রক্ষা করে চলছে প্রশাসন।