মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কমলনাথ সরকারের মাথার উপর ঘনিয়ে এসেছে আশঙ্কার কালো মেঘ। কেননা গত ১৫ মাল ধরে সে রাজ্যের শাসনক্ষমতায় থাকা কংগ্রেসের মধ্যেই এখন তৈরি হয়েছে দল ভাঙার চোরাস্রোত, সৌজন্যে বিজেপি। সম্প্রতি কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং অভিযোগ করেন যে মধ্যপ্রদেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে (Kamal Nath Government) ফেলে দিতে চক্রান্ত শুরু করেছে বিজেপি, কিছু কংগ্রেস বিধায়ককে কেনার চেষ্টা করছে গেরুয়া দল। কংগ্রেস বিধায়কদের দল ভাঙার জন্য ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকার টোপ দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগের পর হাতের দল নিজেদের ঘর গোছানোর সুযোগ পাওয়ার আগেই গুরগাঁওয়ের হোটেলে দেখা যায় কিছু কংগ্রেস বিধায়ককে। তারপরেই ওই বিধায়কদের ঘরে ফেরাতে হোটেলের দিকে ছোটেন কমলনাথ (Kamal Nath) ঘনিষ্ঠ দুই কংগ্রেস নেতা। রাতভর নাটকের পর ৪ বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস বিধায়কের মধ্যে মাত্র একজনকে কমলনাথ শিবিরে ফেরানো গেছে বলে খবর।
দিগ্বিজয় সিং জানিয়েছেন ৪ জন বিধায়ক এখনও হোটেলের ভিতরে আছেন। তিনি বলেন, মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) থেকে বরখাস্ত বিধায়ক রমাবাঈকে বিজেপির খপ্পর থেকে বের করে আনা গেছে। মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী তথা এবং কংগ্রেস নেতা জিতু পাটোয়ারি এবং জয়বর্ধন সিংকে দেখা যায় গুরগাঁওয়ের মানেশরের আইটিসি হোটেল থেকে শ্রীমতি রমাবাঈকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন।
সংবাদসংস্থা এএনআইকে দিগ্বিজয় সিং বলেন, "যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করতে পেরেছি তাঁরা আমাদের শিবিরে ফিরে আসতে প্রস্তুত রয়েছেন। আপাতত আমরা বিসাহুলাল সিং (কংগ্রেস বিধায়ক) এবং রমাবাঈয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। বিজেপি রমাবাঈকে রোখার চেষ্টা করলেও তিনি আমাদের শিবিরে ফিরে এসেছেন"।
ওই কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন যে বিজেপি তাঁর দলের বিধায়কদের ঘুষ দিয়ে কিনে নেওয়ার চেষ্টা করছে। "বিজেপির রামপাল সিং, নরোত্তম মিশ্র, অরবিন্দ ভাদৌড়িয়া, সঞ্জয় পাঠক কংগ্রেস বিধায়কদের টাকা দিয়ে চাইছিলেন। যদি সেই সময় কোনও অভিযান চালানো হত তবে তাঁদের ধরা যেত ... আমাদের ধারণা আমাদের শিবিরের ১০-১১ জন বিধায়ক সেখানে ছিলেন, কিন্তু এখন ওদের সঙ্গে তাঁদের মধ্যে শুধু ৪ জন রয়েছেন, তবে আমরা নিশ্চিত যে তাঁরাও আমাদের কাছে ফিরে আসবেন", বলেন দিগ্বিজয় সিং।
১৯৮৪ শিখ বিরোধী হিংসার মামলা আবার শুরু করতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, চাপে কমল নাথ
মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় মোট ২৩০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ২ জন বিধায়কের মৃত্যু হওয়ায় দুটি আসন শূন্য রয়েছে। অর্থাৎ বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে গেলে ১১৫ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। কংগ্রেসের রয়েছে ১১৪ জন বিধায়ক। বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১০৭। বাকি ৮ জনের মধ্যে ২ জন বহুজন সমাজ পার্টির ও ১ জন সপার বিধায়ক। বাকি ৪ বিধায়ক নির্দল।