রবিবার মথুরার ক্ষেত থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন হেমা মালিনী
হাইলাইটস
- মথুরায় দ্বিতীয় বার লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন হেমা মালিনী
- তিনি রবিবার নিজের ভোট-প্রচারের কাজ শুরু করলেন
- একটি ক্ষেত থেকে নিজের ছবি পোস্ট করেছেন হেমা, হাতে ছিল কাস্তে
মথুরা: মথুরার এক সোনালি ধানক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে রবিবার অভিনেত্রী তথা রাজনীতিবিদ হেমা মালিনী নিজের নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন। হাতে কাস্তে, পরনে শাড়ি এবং চারপাশে ধানের ছড়া— এমনভাবেই দেখা গেল বিজেপির এই প্রার্থীকে (Hema Malini Starts Lok Sabha Election Campaign)। লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মথুরায় নিজের দ্বিতীয় ইনিংসের প্রচার শুরু করলেন তিনি। ২০১৪ সালে হেমা মালিনী ওই কেন্দ্র থেকে প্রায় তিন লাখ তিরিশ হাজার ভোটে জিতেছিলেন। হেমা বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষজন আমায় সাদরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। কারণ আমি মথুরার মানুষের জন্য অনেক কিছু করেছি। আর সে জন্য আমি যথেষ্ট গর্বিত। আগামী দিনে আরও উন্নয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। আমার আগে মথুরার জন্য কেউ এত কাজ করেনি,'' বলেই দাবি করেন হেমা মালিনী। যদিও বিরোধীরা তাকে উত্তরপ্রদেশে ‘বহিরাগত' তকমা দিয়েছেন।
খন আর কেউ অসহিষ্ণুতার অভিযোগ আনে না, বিরোধীদের কটাক্ষ করে দাবি মোদীর
হেমা মালিনী গতকাল নিজের বেশ কয়েকটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। সেখানে লেখেন, ‘‘লোকসভার নির্বাচনী প্রচার শুরু করলাম। সঙ্গে গোবরধন ক্ষেত্র। এখানে স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে ক্ষেতে কাজ করার এবং কথা বলার অভিজ্ঞতা হল।''
উত্তরপ্রদেশের নেতাদের মধ্যে ‘মহাগাঁটবন্ধন'-এর পরে বলা হয়েছে যে, এ বার মথুরা বহিরাগতের সঙ্গে বজ্রবাসীর লড়াই দেখবে। কারণ হেমা মালিনী আদতে মুম্বইয়ের বাসিন্দা।
দক্ষিণ কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে খতম চার জঙ্গি
হেমা পিটিআই-কে বলেন, ‘‘হ্যাঁ আমি মুম্বইতে থাকি। তাতে কি সমস্যা? আমার এখানেও একটি বাড়ি রয়েছে, এবং আমিও একজন বৃন্দাবনবাসী।''
হেমা আরও বলেন, ‘‘আমি এই শহরটা সঙ্গে এত একাত্ম হয়ে গিয়েছি, এখানে এত পবিত্র একটা সংযোগ পাই তা বলার নয়। জীবনভর আমি বিভিন্ন নাচের শো-তে রাধা এবং মীরার চরিত্রে পারফর্ম করেছি। আবার যখন আমার নাম ঘোষণা করা হয় সেই সময়েও আমি একটি মন্দিরেই দাঁড়িয়েছিলাম।''
হেমা বলেন, ‘‘আড়াইশো বারেরও বেশি বৃন্দাবনে এসেছি। মুম্বই থেকে এখানে আসাটা খুব একটা সহজ নয় বারবার। কিন্তু আমি শ্রীকৃষ্ণের একজন ভক্ত। আর তাই আমিও একজন ব্রজবাসী,''— গত সপ্তাহেই এনডিটিভি-কে বলেছিলেন হেমা।
২৫ মার্চ একটি পুজো শেষে যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে গিয়ে হেমা মালিনী নিজের নমিনেশন ফাইল করেন
‘‘যখন আমাকে কেউ জিজ্ঞাসা করেন, আপনি এখানে কি কাজ করেছেন? তখন সত্যিই খারাপ লাগে। প্রথম দু'বছর আমার কাজ করতে একটু অসুবিধা হয়েছিল কারণ আমি সকলের সঙ্গে সেভাবে কথা বলে উঠতে পারতাম না। কিন্তু শেষ দু'বছরে আমি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সাহায্যে অনেক কাজ করেছি,''—বলেন তিনি।
যদিও হেমা দাবি করেছেন, প্রচারে প্রথম দিনে মানুষ তাকে অনেক ভালোবাসা জানিয়েছেন। কিন্তু একইসঙ্গে স্থানীয় বহু মানুষ আবার নিজেদের হতাশাও ব্যক্ত করেছেন। স্থানীয় এক ব্যক্তি এনআই-কে বলেছেন, ‘‘হেমা মালিনী যখনই মথুরা আসেন সোজা নিজের গেস্ট হাউসে চলে যান। সেখানেই বিশ্রাম নেন। আমরা স্থানীয় লোকজন দিনভর তার জন্য ঘরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি। উনি আমাদের কেন্দ্রের জন্য কিছু করেননি।''
হেমা মালিনী অবশ্য ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, এ বারই শেষ, এরপরে আর তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তার বিরুদ্ধে এবার দাঁড়িয়েছেন রাষ্ট্রীয় লোক দলের কুওর নরেন্দ্র সিং। মথুরাতে নির্বাচন হবে দ্বিতীয় ভাগে। মোট সাতটি স্তরে ১৮ এপ্রিল নির্বাচন হবে। ফলাফল ঘোষিত হবে ২৩ মে।