This Article is From Dec 29, 2019

শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন, বিরোধী ঐক্যের প্রকাশ অনুষ্ঠানে

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নক্ষত্র সমাবেশ হয়েছিল। ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

Hemant Soren Oath: এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন হেমন্ত সোরেন।

রাঁচি, ঝাড়খণ্ড:

রবিবার ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন (Hemant Soren)। রাঁচিতে (Ranchi) মহা সমারোহে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে (Oath Ceremony) শপথ নিলেন তিনি। এমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট ঝাড়খণ্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হলেন হেমন্ত সোরেন। আজকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দলগুলির একতা প্রদর্শিত হল।

রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মূ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করলেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হল মোরাবাদি ময়দানে। দিনটিকে ‘সংকল্প দিবস' বলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী দফতরের তরফ থেকে।

রাহুল গান্ধিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য অমিত শাহকে আক্রমণ চিদাম্বরমের

এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নক্ষত্র সমাবেশ লক্ষ করা যায়। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং ডিএমকের এমকে স্তালিন।

রবিবার হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে শপথ নিলেন‌ কংগ্রেসের দুই নেতা আলমগির আলম ও রামেশ্বর ওঁরাও এবং আরজেডি বিধায়ক সত্যানন্দ ভোক্তা। তাঁরা শপথ নিলেন রাজ্যের মন্ত্রী হিসেবে।

রাহুল গান্ধি অনুপ্রবেশকারীদের ভালবাসলে তাদের ইতালিতে নিয়ে যান: গিরিরাজ সিংহ

অনুষ্ঠানের পরে রাহুল গান্ধি টুইট করে লেখেন, ‘‘আমি মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনজি এবং কংগ্রেস দলের মন্ত্রীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম আজ। আমি আত্মবিশ্বাসী ঝাড়খণ্ডে ‌নতুন সরকার সমস্ত মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবে এবং রাজ্যকে শান্তি ও উন্নতির পথে নিয়ে যাবে।''

এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার এবং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় টুইট করে নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।

হেমন্ত সোরেন সমস্ত ভোটারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁদের পরিষ্কার সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেওয়ার জন্য। শপথগ্রহণের আগে একটি ভিডিও টুইট করে তিনি জানান, ‘‘নতুন সরকারের থেকে আপনাদের প্রত্যাশা আমি বুঝতে পারছি। আমি আপনাদের সকলকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাই।''

গত সোমবার ছিল গণনার দিন। সেদিন ৮১ আসনের বিধানসভার ৪৭টি আসন দখল করে জেএমএম-কংগ্রেস-আরজেডি জোট। নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির। তারা পায় মাত্র ২৫টি আসন।

দু'বারের মুখ্যমন্ত্রী শিবু সোরেনের পুত্র হেমন্ত সোরেন কম বয়সেই রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি মুখ্যমন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার সরকারে উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় দল বিজেপির সমর্থন করে সরকার গড়েছিল। পর ২০১৩ সালের জানুয়ারিতে জেএমএম সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়ে রাজ্যে কেন্দ্রীয় শাসন জারি হয়। জুলাই মাসে হেমন্ত সোরেন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে শপথ নিয়ে দেশের সর্বকনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। তবে সেবার তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন মাত্র ১৭ মাস।

ওই অল্প সময়েই সরকারি চাকরিতে মহিলাদের ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের মতো পদক্ষেপ করেন তিনি। পাশাপাশি পশ্চিম সিংভূম, সারান্ডায় মাওবাদী অভ্যুত্থানের মোকাবিলাও করে তাঁর সরকার।

২০০০ সালে গঠিত হওয়ার পর থেকে ঝাড়খণ্ড এযাবৎ ন'টি সরকার পেয়েছে। তিনবার সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়েছে। 

.