বাবার সঙ্গে জেনা গ্ল্যানযারের পুরনো একটা ছবি।
স্কুলে যেমন অনেক বাচ্চাই পড়াশোনার পাশাপাশি নাচ, আঁকা, গান-বাজনা বেছে নেয়, জেনা গ্ল্যানযারও তেমনই পিয়ানো বেছে নিয়েছিল। আর আজ 27 বছর বয়সে পৌঁছে তাঁর মনে হচ্ছে ভাগ্যিস সেদিন তিনি পিয়ানো বেছে ছিলেন।
তিনি যখন ছোট ছিলেন, তাঁর বাবা পিয়ানোতে তাঁকে “লিটল স্প্রিং সং” গেয়ে শোনাতেন। তাঁর বাবা একমাত্র এই একটা গানই জানতেন। আজ তাঁর বাবার স্মৃতিভ্রংশ হওয়ায় তিনি বাবাকে একই গান শুনিয়ে স্মৃতি ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন।
গ্ল্যানযার জানান, “ছোটবেলায় মা আর আমি হয়তো ঘরের কাজ করছি, শুনতে পেতাম বাবা গানটা বাজাচ্ছেন। গানটা আমাকে সব সময় আনন্দ দিত।“
গ্ল্যানযারের বাবা, 71 বছরের লরেন গ্ল্যানযার আর পিয়ানো বাজান না। তিনি আর বেশি কথাও বলেন না।
দুই বছর আগে গ্ল্যানযারের বাবার স্মৃতিশক্তি যখন অল্প অল্প করে হারিয়ে যেতে চলেছে, তখনও তিনি গানের দুই একটা কলি বাজাতে পারতেন। গ্ল্যানযারের মা সেটা রেকর্ড করে রাখেন। কিন্তু তাঁরা কেউই পুরো গানটা বা গানের নামটা জানতেন না।
গ্ল্যানযার তখন ভাবতে থাকেন, যদি গানটা চিহ্নিত করে তিনি বাজাতে শিখে নেন, তবে হয়তো তাঁর বাবার স্মৃতি শক্তি ফেরত আসবে।
কিন্তু কীভাবে খুঁজে পেলেন গ্ল্যানযার?
গ্ল্যানযার ওই গানের সামান্য অংশ বাজিয়ে ইন্টারনেটে রেডিটে পোস্ট করে ঘটনার বিবরণ দিয়ে সাহায্য চান যে ওই গানটা কেউ জানলে তাঁকে যেন জানান।
তিনি আশা করেছিলেন কেউ নিশ্চয়ই তাঁকে সাহায্য করবে। পর দিন সকালে উঠে তিনি দেখেন ভিডিওটা আঠাশ হাজারের বেশী মানুষ দেখেছেন এবং অসংখ্য কমেন্টে ভরে গেছে, যা স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে অবাক করে।
এরপর তিনি গানটা পিয়ানোয় বাজানো শেখেন এবং পুরোটা ভিডিও রেকর্ড করে মায়ের কাছে পাঠান, বাবাকে দেখানোর উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাঁর বাবা ভিডিওটা কয়েক সেকেন্ড দেখেই মুখ ঘুরিয়ে নেন।
রোগ ধরা পড়ার পর থেকে ক্রমশ গ্ল্যানযারের বাবার স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেয়েছে। তিনি মানুষ চিন্তেও যেমন আর পারেন না তেমনই কোথাও প্রায় বলতে পারেন না।
বাড়ির কথা মনে পরলে গ্ল্যানযার এখন প্রায়শই পিয়ানোতে “লিটল স্প্রিং সং” বাজিয়ে সময় কাটিয়ে দেন। গানটা শুনলেই তাঁর মনে পড়ে ছোটবেলার কথা, যখন পিয়ানো বাজিয়ে তাঁকে আর তাঁর মাকে গান শোনাতেন তাঁর বাবা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)Click for more
trending news