গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্চাশ হাজার পেরিয়েছে দেশের সংক্রমণ।
নয়াদিল্লি: ভারতের মতো জনবহুল দেশে হার্ড ইমিউনিটি (Herd Immunity in India) তত্ত্ব বাস্তব নয়। বৃহস্পতিবার অবস্থান স্পষ্ট করে জানালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা মহামারী থেকে বাঁচতে ভারতকে পুরোদস্তুর টিকার ওপর নির্ভর করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন, "হার্ড ইমিউনিটি এই রোগ (Covid-19 in India) থেকে বাঁচতে পরোক্ষ প্রতিষেধক। এই ইমিউনিটি একটা জনসংখ্যাকে রোগ সংক্রমণ থেকে বাঁচায়। কিন্তু মানবশরীরে এই ইমিউনিটি বাসা বাঁধে যখন টিকাকরণ করা হয়। কিংবা যখন একটা জনসংখ্যা সেই মহামারীতে আক্রান্ত কিংবা সংক্রমণ মুক্ত হয়। ভারতে হার্ড ইমিউনিটি কোনও বিকল্প নয়। এটা একমাত্র টিকাকরণের (Vaccination) পরেই সম্ভব।"
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে এখনও পর্যন্ত ২৪টি টিকার ট্রায়াল চলছে। ভারতের দুটি টিকার হিউম্যান ট্রায়াল প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে।
দেশব্যাপী করোনার সবচেয়ে বেশি দংশন জুলাই মাসে চোখে পড়েছে চিকিৎসকদের। মোট সংক্রমণের ৬১% ও মোট মৃত্যুর ৫০% এই মাসে পরিলক্ষিত হয়েছে। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ৯.৬ লক্ষ সংক্রমিত হয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে, তাই সংক্রমিতের সংখ্যাও বেড়েছে। এদিকে, বিশেষজ্ঞ মহল মাস দুয়েক আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, জুলাই মাসে ২০ লক্ষ ছোঁবে দেশের সংক্রমণ। সূত্রের খবর, এই সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে অবশ্যই আনলক পর্ব। লকডাউন শেষে দেশে যখন আনলক প্রক্রিয়া শুরু হয়, তখন মানুষে মানুষে মেলামেশা ও যাতায়াত বেড়েছে। এতেই বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ হার।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় মোট সংক্রমিত ৫২ হাজার। এই সংক্রমণ ধরে দেশে মোট সংক্রমিত ১৫, ৮৩, ৭৯২। গত দু'সপ্তাহে প্রায় দশ লক্ষ সংক্রমিত ধরা পড়েছে দেশে।
অপরদিকে, বুধবার দেশব্যাপী আনলক-৩ লাগু করতে গাইডলাইন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই পর্বে খোলা যাবে জিম ও যোগচর্চা কেন্দ্র। থাকবে না নাইট লকডাউন। তবে, আগের মতোই গণজমায়েতস্থল, শপিং মল, সিনেমা হল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক বন্ধ রাখা হবে।
৩০ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনা রোগীর খোঁজ মেলে কেরলে। তারপর থেকে সংক্রমণের বিচারে ১৫ লক্ষ ছুঁতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লাগল। গত ১৯ মে এক লক্ষ পেরিয়েছিল ভারতের সংক্রমণ।