জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে রইল কৃষ্ণের পাঁচটি অলৌকিক গল্প
নিউ দিল্লি: 2018 সালের কৃষ্ণের জন্মতারিখ সম্পর্কে মানুষ খুবই বিভ্রান্ত। এই বার সেকারণেই জন্মাষ্টমী পালন করা হবে দুই দিন ধরে। 2 এবং 3 সেপ্টেম্বর উদযাপিত হবে জন্মাষ্টমী হিসেবে। কিংবদন্তি অনুযায়ী, শ্রী কৃষ্ণের 5245তম জন্মবার্ষিকী এটি। কৃষ্ণের বহু অলৌকিক ক্ষমতার গল্প এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে। আসুন আবারও এক ঝলক দেখে নিই কৃষ্ণের কিছু বিষ্ময়কর ঘটনা।
কড়ে আঙুলে পর্বত- কিংবদন্তি অনুসারে, প্রভু ইন্দ্র একবার তাঁর ক্ষমতা নিয়ে খুবই অহংকারী হয়ে পড়েন। এই বিষয়টি জানতে পেরে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর গ্রামবাসীদের বোঝান ইন্দ্রের পুজো না করে গোবর্ধন পর্বতের পুজো করতে। গ্রামবাসীরা তাই করতে থাকেন, এসব দেখে আরও ক্ষেপে যান ইন্দ্র। তখন তিনি গোবর্ধন পর্বতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু করে দেন। গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে কৃষ্ণ নিজের কড়ে আঙুলে গোটা গোবর্ধন পর্বত তুলে নেন এবং তার নীচে আশ্রয় নেন গ্রামবাসীরা। ইন্দ্র টানা 7 দিন ভয়ানক বৃষ্টি ঘটান, পরে নিজের ভুল বুঝতে পেরে শ্রী কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
কালিয় দমন- গরুড়ের ভয়ে রমানকা দ্বীপ ছেড়ে বৃন্দাবনে এসে বসতি স্থাপন করে কালিয়নাগ। যমুনা নদীতে বাসা বাধার জন্য ওই নদীর জল বিষাক্ত হয়ে ওঠে। কথিত আছে, একবার কৃষ্ণ তাঁর বন্ধুদের সাথে বল খেলতে খেলতে সেই বল নদীতে পড়ে যায়।তখন বল কুড়িয়ে আনতে কৃষ্ণ কদম গাছ থেকে সোজা জলে ঝাঁপ দেন। জলে কালিয়নাগ কৃষ্ণকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে নেয়। কৃষ্ণ অবশ্য সাপের বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে ফেলেন। কালিয় নাগ শ্রীকৃষ্ণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং জীবনদানের জন্য অনুরোধ করেন।
গীতার শিক্ষা- ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে জানান, গীতার পাঠ তিনি সর্বাগ্রে সূর্যদেবকে দিয়েছিলেন। অর্জুন অবাক হন। অর্জুন বিস্ময়ের সঙ্গে বলেন, “সূর্য বহু প্রাচীন ঈশ্বর! আপনি কীভাবে এর আগে এই শিক্ষা সূর্যকে দিতে পারেন?” তখন কৃষ্ণ অর্জুনকে জানান, তাঁর এবং অর্জুনের জন্মের আগেও বহুজন্ম ঘটে গিয়েছে, সেসব কথা অর্জুন জানেন না, তবে কৃষ্ণ জানেন। সেই কারণেই অর্জুনেরও আগে তিনি প্রথম সূর্যদেবকে গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন।
মুখের মধ্যে ব্রহ্মাণ্ড- শিশুকালে একবার কৃষ্ণ মাটি খেয়ে নিয়েছিলেন। সেই কথা বলরাম তাঁদের মা যশোদাকে জানিয়ে দেন। মা যশোদা তখন কৃষ্ণকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি মাটি খেয়েছেন? কৃষ্ণ জানান মোটেও তিনি মাটি খাননি। সেই সময় মা তাঁকে বলেন “হাঁ করো তো দেখি।” কৃষ্ণ মাটি খাননি সেকথা প্রমাণ করতে হাঁ করেন, সেই সময় তাঁর মা কৃষ্ণের হাঁ মুখের মধ্যে গোটা ব্রহ্মাণ্ড দেখতে পান।
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ- মহাভারতে কৌরব ও পাণ্ডবদের দ্যুত ক্রীড়ার সময় সর্বস্ব খুইয়ে নিজের স্ত্রী দ্রৌপদীকেই বাজি ধরেন যুধিষ্ঠির। পাণ্ডবরা খেলায় হেরে যাওয়ায় সেই সময় দুঃশাসন খেলায় জায়গায় দ্রৌপদীকে চুল ধরে টেনে আনেন। সকলের সামনে দ্রৌপদীর শ্লীলতাহানি করার জন্য তাঁর কাপড় টেনে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পাণ্ডবরা তাঁকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই না করায় তিনি কৃষ্ণকে মনে মনে ডাকেন, সাহায্য চান। শ্রীকৃষ্ণ তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা বলে দ্রৌপদীর শাড়ি অক্ষত রাখেন।
Click for more
trending news