মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট এই নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে।
কংগ্রেস (Congress) নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sanmoy Bandopadhyay) বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্যের পুলিশ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) এই নির্দেশ দিয়েছে পুলিশকে। গত অক্টোবরে সাইবার অপরাধের অভিযোগে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটক করে পুলিশ। এরপরই রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে প্রবল আলোড়ন ওঠে। মঙ্গলবার বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য সন্ময়কে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা ভিডিও ও খড়দহ থানায় তাঁকে কারাবন্দি করে রাখার ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করে রাখতে নির্দেশ দেন। হাইকোর্ট এই নির্দেশও দেয় যে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্যের পুলিশ। এক কংগ্রেস মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন।
আধার লিঙ্কের কারণেই বাড়ছে ব্যাংক জালিয়াতি, কেন্দ্রকে একযোগে আক্রমণ তৃণমূল-বামের
তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর রদ করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ জানান, তাঁকে গ্রেফতার করার পর থানায় নিয়ে গিয়ে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছিল পুলিশ।
আদালত পরবর্তী শুনানির দিন জানুয়ারিতে ধার্য করেছে।
কাজ ফেলে প্রতিবাদ-আন্দোলনে বসায় পার্শ্ব শিক্ষকদের শো-কজ নোটিস ধরালো রাজ্য
গত ১৭ অক্টোবর পুরুলিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয় সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনদিন পরে আদালত তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর অভিযোগ, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার জন্যই তাঁকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি বাংলার শীর্ষ নেতৃত্বের অসহিষ্ণুতার সেরা উদাহরণ বলে অভিযোগ করেন অধীর চৌধুরী।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ অবশ্যা দাবি করেন, একাধিক ফৌজদারি অভিযোগ থাকার কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এর সঙ্গে সরকারের সমালোচনা করার কোনও সম্পর্ক নেই।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)