আশ্বাস মিললেও বিতর্ক যে সহজে থামছে না তা পরিষ্কার হয়েছে
হাইলাইটস
- হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া বিতর্কে সুর নরম কেন্দ্রের, আসরে নির্মলা, জয়শঙ্কর
- ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য
- দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির বিরোধিতা ক্রমশ সংগঠিত আকার নিতে শুরু করেছে
নিউ দিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতির (New Education Policy ) বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্য। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির বিরোধিতা ক্রমশ সংগঠিত আকার নিতে শুরু করেছে। প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে হিন্দিকে (Hindi) বাধ্যতামূলক করার কথা বলা হয়েছে বলে খবর। এমতাবস্থায় রবিবার রণে ভঙ্গ দিল সরকার।জানান হল কোনও রাজ্যের উপরেই হিন্দি (Hindi) চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের নেই। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার দুই সদস্য অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ নিয়ে টুইট করেন। দুজনেই বলেন শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। শিক্ষা নীতি কার্যকর করার আগে বিচার বিবেচনা করবে সরকার। উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডুও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষা নীতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার আগে চর্চা এবং বিবেচনা করুন।'
মমতা হিরণ্যকশ্যপের পরিবারের সদস্য, দাবি এই বিজেপি নেতার
কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এমন আশ্বাস মিললেও বিতর্ক যে সহজে থামছে না তা পরিষ্কার হয়েছে। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী এবং কেরালার কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর এদিন হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে আরও একবার মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন। একই কথা একদিন আগেই বলেছেন তামিলনাড়ুর বিরোধী দলনেতা এমকে স্টালিন। এদিন শশী থারুর বলেন, ‘দক্ষিণ ভারতের সবাই হিন্দি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে অধ্যায়ন করে। কিন্তু উত্তর ভারতের কেউ তামিল বা মালায়লমকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে পড়ে না।' টুইটারে পাল্টা সরকারের বক্তব্য তুলে ধরেছেন বেঙ্গালুরুর তরুণ বিজেপি সাংসদ তেজস্বী সূর্য। তিনি বলেছেন, ‘নতুন শিক্ষানীতি হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার জন্য নয়। বরং হিন্দি পড়ার ক্ষেত্রে উৎসাহ বৃদ্ধি নতুন শিক্ষানীতির লক্ষ্য।'
“জয় শ্রীরাম” স্লোগান ভাল, বিজেপি যেভাবে ব্যবহার করছে সেটা নয়: মমতা
দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে হিন্দির বিরোধিতা কোনও নতুন ঘটনা নয়। ১৯৩৭ থেকে ১৯৪০ সাল পর্যন্ত তামিলনাড়ুতে হিন্দির বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন হয়েছিল। একই ঘটনা ঘটেছিল ১৯৬৫ সালে। সে সময় দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন যেগুলি হিন্দিভাষী রাজ্য নয় সেখানে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া কোনও ভাবেই হবে না। এতদিন বাদে আরও একবার কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত শিক্ষানীতি সৌজন্যে শুরু হল বিতর্ক।