বাংলার চিরন্তন ভাইফোঁটার এক সম্প্রীতিময় রূপ নদিয়ায়। (প্রতীকী ছবি)
ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা। বাংলার চিরন্তন ভাইফোঁটাকে (Bhai Phonta) সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁধলেন নদিয়ার (Nadia) ৫০ জন মহিলা। হিন্দু ও মুসলিম দুই ধর্মাবলম্বী মহিলারা মিলে ফোঁটা দিলেন ১০০ জনকে। এবং সেই ফোঁটায় ধর্ম কোনও অন্তরায় হল না। যাঁদের ফোঁটা দেওয়া হল ও যাঁরা দিলেন, তাঁরা কেউ হিন্দু, আবার কেউ বা মুসলিম। আয়োজকরা জানাচ্ছেন এমন সম্প্রীতির নজির ভাইফোঁটা কিন্তু আজকের নয়। ধর্মের নিগড় থেকে মুক্ত এহেন উৎসবের বয়স একশো পেরিয়েছে। জেলার ৩০০ বছরের প্রাচীন বিরহী মদন গোপাল মন্দিরে বহু বছর ধরে এই অভিনব ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত হয়।
তবে এবারে অনুষ্ঠান হল মন্মথ রায় স্মৃতি পাঠাগারে। পাঠাগারের সম্পাদক দিলীপ রায় জানাচ্ছেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা ক্রমেই কমে আসছিল। এবং জেল্লা হারাচ্ছিল। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিই ওই শতাব্দী প্রাচীন অনুষ্ঠানকে আবার নতুন করে ফিরিয়ে আনার।''
মুখ্যমন্ত্রীর কালীপুজোয় অংশ নিতে পেরে নিজেকে "আশীর্বাদধন্য" মনে করছেন রাজ্যপাল
বিরহী মদন গোপাল মন্দির ছেড়ে পাঠাগারে এই ভাইফোঁটা নতুন করে শুরু করা হয় গত বছর। এবছর তা অনুষ্ঠিত হল দ্বিতীয় বার।
এই ভাইফোঁটায় অংশ নেওয়া সবচেয়ে বর্ষীয়ান মানুষ ৭০ বছরের দেবী রায়। আর সর্বকনিষ্ঠ অংশগ্রহণকারীর বয়স ছ'বছর।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফাটল উচ্চমাত্রার শব্দবাজি, নথিভুক্ত ১৪০টি অভিযোগ
দেবী রায় জানাচ্ছেন, ‘‘আমি প্রতি বছরই চেষ্টা করি যাতে আরও বেশি ভাইদের কপালে ফোঁটা দিতে পারি।''
অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এক মুসলিম ব্যক্তি রাবিয়াল বিশ্বাস জানাচ্ছেন, ‘‘আমি হিন্দু দিদি-বোনদের থেকে ফোঁটা নিয়ে আনন্দিত হই। এই অনুষ্ঠান প্রতি বছর আয়োজন করা উচিত।''
অন্যতম উদ্যোক্তা গৌর ঘোষ এই অনুষ্ঠানে হিন্দু ও মুসলিম মহিলারা ফোঁটা দেওয়ার পর ভাইদের হাতে তুলে দেন মিষ্টির প্যাকেট।
তিনি বলেন, ‘‘এই প্রথা জাতীয় ঐক্যকে জোরদার করবে।''
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)