এপ্রিল মাসের ২ তারিখের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রশাসনকে।
হাইলাইটস
- পাকিস্তানে আটকে রেখে হিন্দু তরুণীদের ধর্মান্তর? রিপোর্ট চাইল প্রশাসন
- হোলির সময় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়
- পাকিস্তানের ভারতীয় হাইকমিশনের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিদেশমন্ত্রী
Islamabad: পাকিস্তানে দুই হিন্দু তরুণীকে (Hindu Girl) জোর করে আটকে রাখা এবং ধর্মান্তর (Conversion ) করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। হোলির সময় সংবাদ মাধ্যমে এই খবর প্রকাশিত হয়। আরও বলা হয় গোটা ঘটনা নিয়ে সিন্ধু প্রদেশের (Sindhu Province) হিন্দুদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রতিবাদও দেখিয়েছেন বলে খবর। এ নিয়ে আগেই সরব হয়েছিল ভারত। পাকিস্তানের ভারতীয় হাইকমিশনের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এবার পাক প্রশাসনকে ওই দুই তরুণীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বলল আদালত। পাশাপাশি ওই দুই তরুণীকে জোর করে কিছু করান হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। এ সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে হবে প্রশাসনকে। হোলির ঠিক পরে সংবাদ মাধ্যমে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেখানে দাবি করা হয় সিন্ধু প্রদেশে ঘটকি জেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। তাতে ওই দুই তরুণীর বিয়ের দৃশ্য ধরা পড়েছে।
কেরলের বন্যার দগদগে স্মৃতি নিয়েই মানুষ চাইছেন লোকসভা নির্বাচনে ইস্যু হোক জলবায়ু
এমতাবস্থায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (Islamabad High Court) আজ পাক প্রশাসনকে (Pak Administration ) তরুণীদের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার নির্দেশ দেয়। প্রধান বিচারপতির (Chief Justice) এজালাসে এই মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময় ওই দুই তরুণীর ভার ডেপুটি কমিশনার এবং মানবাধিকার কমিশনের এডিজিকে দেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি সুপারিনডেন্ট পর্যায়ের মহিলা পুলিশ মোতায়েন করার কথাও বলেছে আদালত। বিস্তারিত তদন্ত করে এপ্রিল মাসের ২ তারিখের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে প্রশাসনকে।
“অনেককে পাকিস্তান যেতে বলেন, নওয়াদা থেকে বেগুসরাই আসতে রাগ মন্ত্রীর!” কানহাইয়া কুমার
খবর প্রকাশ্যে আসতেই পাকিস্তানের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের থেকে রিপোর্ট চান সুষমা। টুইটারে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ওই খবর উদ্ধৃত করে বিদেশমন্ত্রী লেখেন ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বলছি এই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমাদের রিপোর্ট পাঠান। পাকিস্তানে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষদের সুরক্ষার দাবিতে প্রথম থেকেই সরব ভারত। এই ঘটনার পর নিজেদের সেই মনোভাবই আরও একবার বুঝিয়ে দিল দিল্লি। এবার তরুণীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার কথা জানাল আদালত। আগেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।