Kamlesh Tiwari Case: দুই অভিযুক্ত আশফাক হুসেন এবং মইনুদ্দিন পাঠানকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
হিন্দু সমাজ পার্টির নেতা কমলেশ তিওয়ারি (Hindu Group Leader Kamlesh Tiwari) শুক্রবার লখনউয়ে নিজের বাড়িতে খুন (murdered) হন। তাঁকে ১৫ বার ছুরির আঘাত করা হয় ও মুখে গুলি করা হয় বলে ময়না তদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে। তাঁর গলায় দু'টি গভীর ছুরির আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাঁর খুলির পিছনে একটি বুলেটের সন্ধান মিলেছে। কিন্তু সেটার প্রবেশপথ মিলেছে তাঁর মুখের বাম পাশে। গত ১৮ অক্টোবর দুই আততায়ী কমলেশ তিওয়ারির কাছে এসে জানান, তারা তাঁকে দীপাবলি উপলক্ষে মিষ্টির বাক্স উপহার দিতে এসেছে। এরপর ঘরে ঢোকার পরই তারা কমলেশের উপরে হামলা চালায়। গুরুতর আহত কমলেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই তাঁর মৃত্যু ঘটে।
দুই অভিযুক্ত আশফাক হুসেন (৩৪) এবং মইনুদ্দিন পাঠানকে (২৭) মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, অতীতে নবী মহম্মদকে নিয়ে খারাপ মন্তব্য করার কারণেই হিন্দু গ্রুপের ওই নেতাকে হত্যা করেছে দুই অভিযুক্ত।
কাঠুয়া ধর্ষণ তথা হত্যার মামলায় তদন্ত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধেই মামলা করতে বলল আদালত
দুই অভিযুক্ত গুজরাতের সুরাতের বাসিন্দা। গুজরাত-রাজস্থান সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গুজরাত জঙ্গি দমন স্কোয়াড তাদের গ্রেফতার করে।
যে মিষ্টির বাক্স তারা নিয়ে গিয়েছিল মৃত কমলেশ তিওয়ারির বাড়ি, সেখান থেকেই সুরাতের ঠিকানা মেলে।
কাশ্মীরে এনকাউন্টারে মৃত তিন জঙ্গিকে শনাক্ত করল পুলিশ
অনুমান, ওই দুই অভিযুক্ত লখনউয়ের এক হোটেলে উঠেছিল বৃহস্পতিবার রাতে। এবং নিজেদের আসল নাম ও ঠিকানাই দিয়েছিল তারা। পুলিশ জানিয়েছে, শহর ছাড়ার আগে তারা হোটেলে ফিরেছিল তাদের জামাকাপড় ও অস্ত্র লুকিয়ে রাখতে। এরপর তারা সুরাতে ফিরে যায়। তাদের এই যাওয়া আসার বিষয়টা চোখে পড়ে যায় তাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের।
পুলিশ এর আগে আরও কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করেছিল দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। তাদের নাম মৌলানা মহসিন শেখ, রশিদ আহমেদ পাঠান, ফইজন ও সঈদ আসিম আলি।