অসমে নাগরিক পঞ্জি থেকে ১৯ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পর গোটা দেশেই ছড়িয়েছে এনআরসি আতঙ্ক।
সোমবার কলকাতার মেয়ো রোডে মহাত্মা গান্ধির (Mahatma Gandhi) মূর্তির পাদদেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) ও এনআরসির (NRC) বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হল রাজ্যের পুরোহিত ও পূজারিদের সংগঠন ‘পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ পরিষদ'। রাজ্যে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদের সময় যে হিংসার সৃষ্টি হয়েছে তা বন্ধ হয়ে রাজ্যে শান্তি ফিরুক এই দাবি উঠল জমায়েতে। পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রীধর মিশ্র বলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে যেভাবে দেশকে বিভক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে তা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘সিএএ ও এনআরসি আনা হয়েছে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষকে দেশছাড়া করার জন্য। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যদি একটি সম্প্রদায়কে আজ টার্গেট করা হয়ে থাকে, তাহলে আমাদেরও কোনও সময় করা হতে পারে।''
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পুরোহিতরা পথে নেমে এসে এনআরসি ও সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মের ভিত্তিতে এমন কঠোর পদক্ষেপ করতে পারে না। এর ফলে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিবেকানন্দের মতো মনীষীরা ভারতের ঐক্যবদ্ধ সমাজের কথা বলেছেন।''