করোনা আবহে ২০২০ তে স্নাতক হতে চলা ছাত্রদের জন্য গুগলের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের একটি বিশেষ বার্তা ,"খোলামেলা হও, অধৈর্য হও,আশাবাদী হও।" ইউটিউব এর ডিয়ার ক্লাস অফ ২০২০ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখেন সুন্দর পিচাই। নিজের বক্তব্য রাখার সময় অতীতে ফিরে যান সুন্দর পিচাই। তিনি জানান কঠিন সময়ে কীভাবে পজিটিভ থাকতে হয় সেকথা। গুগলের ৪৭ বছরের সিইও জানান, ভারত থেকে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসার সময় ,কতটা অসুবিধার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে। "প্লেনে চড়তে পারি তার জন্য আমার বাবা এক বছরের বেতন জমান আমার প্লেনের টিকিট কাটবেন বলে। সেটাই ছিল আমার প্রথম প্লেনে চড়া। আমেরিকায় থাকার খরচ ছিল বিশাল । বাড়িতে ফোন করতে ২ ডলার খরচ করতে হতো। এবং ব্যাকপ্যাকের দাম ছিল এক বছরের আমার বাবার মাইনের সমান।" জানান পিচাই।
ইউটিউবে স্ট্রিমিং হওয়া এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামা, গায়িকা লেডি গাগা, সংগীতশিল্পী বিয়ন্সে, দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যান্ড বিটিএস।
স্মৃতিমেদুর সুন্দর পিচাই কথা বলার সময় খানিক তুলনাও টেনেছেন ।জানান , তার ছোটবেলায় প্রযুক্তি ছাড়াও তিনি বড় হয়েছেন। তেমনই আজকের প্রজন্ম কীভাবে প্রযুক্তির চারপাশে বড় হচ্ছে সেকথাও তুলে ধরেছেন। এ প্রজন্মের চারপাশে থাকে নানান ধরনের,নানান আকৃতির কম্পিউটার, জানিয়েছেন তিনি।
"ছোট থেকেই প্রযুক্তির মধ্যে বেড়ে উঠি নি আমি। আমার যখন ১০ বছর বয়স তখন প্রথম ফোন আসে আমাদের বাড়িতে। আমেরিকাতে এসেই প্রথম প্রযুক্তির এত কাছে এসেছিলাম আমি। কম্পিউটারকে এত কাছ থেকে পেয়েছিলাম। এর আগে তার সুযোগ আমার খুব বেশি হয়নি। টিভি, তাও যখন আমাদের বাড়িতে অবশেষে এল, তাতে শুধু মাত্র একটাই চ্যানেল আসতো ।"জানিয়েছেন গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি আলফাবেট এর সিইও।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা সুন্দর পিচাই মেটিরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে ২০০৪ সালে এক্সিকিউটিভ আধিকারিক হিসাবে গুগলে যোগদান করেন। এখানেই পদোন্নতির ফলে ২০১৫ সালে কোম্পানির প্রোডাক্ট চিফ এবং সিইও হন তিনি।