This Article is From Dec 19, 2019

Watch: সাক্ষাৎকারের মাঝেই ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে আটক  করল পুলিশ

দেশের যে কোনও স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেসের রাজীব গৌড়া জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেছেন এ ব্যাপারে।

রামচন্দ্র গুহ বেঙ্গালুরুর টাউন হলে একটি প্রতিবাদ সভায় যোগ দিয়েছিলেন।

নয়াদিল্লি/বেঙ্গালুরু:

ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে (Ramachandra Guha) একটি সাক্ষাৎকারের মাঝেই টানতে টানতে নিয়ে গেল পুলিশ (Detained By Police)। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ প্রদর্শনের সময় রামচন্দ্র গুহ সহ অনেককেই আটক করল পুলিশ। ৬১ বছরের ইতিহাসবিদ বেঙ্গালুরুর টাউন হলে একটি প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শহরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় এদিনের জমায়েত ছিল নিষিদ্ধ। NDTV-কে রামচন্দ্র গুহ জানিয়েছেন, ‘‘আমাকে আটক করেছে পুলিশ। সেই সময় আমি গান্ধির একটি পোস্টার হাতে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সংবিধান নিয়ে কথা বলছিলাম। পুলিশ কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কাজ করছে। আমরা একটি বৈষম্যমূলক আইনের বিরোধিতা করছিল অহিংস ভাবে, শৃঙ্খলা মেনে। দেখুন, সকলেই প্রতিবাদ করছেন শান্তিপূর্ণ ভাবে। আপনারা কি কোনও হিংসা দেখতে পাচ্ছেন?''

তিনি তাঁর বাক্য শেষ করার আগেই তাঁকে একদল পুলিশ ধাক্কা মেরে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাঁকে একটি বাসে তোলা হয়। যে বাসে করে আটক ব্যক্তিদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ১০ টি শহরে বিক্ষোভের সুনামি, দিল্লি-বেঙ্গালুরুতে আটক কমপক্ষে ৩০

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে সারা দেশেই বহু অঞ্চলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই সংশোধিত আইনে ২০১৫-র আগে এদেশে আসা অমুসলিম শরণার্থী যাঁরা বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

প্রায় ৩০ জন প্রতিবাদীকে এদিন আটক করে সশস্ত্র পুলিশ। দেশের যে কোনও স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কংগ্রেসের রাজীব গৌড়া জনস্বার্থে একটি মামলা দায়ের করেছেন এ ব্যাপারে।

দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে বিশাল জ্যাম, লাল কেল্লার কাছে নিষিদ্ধ যে কোনও বড় জমায়েত

বেঙ্গালুরুতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ওয়াইদুরাপ্পা দায়ী করেন কংগ্রেসকে। তাঁর দাবি, কংগ্রেসই এই নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার পিছনে রয়েছে। মুসলিমদের দেখভাল করা আমাদের কর্তব্য। সবাইকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানাই। কংগ্রেস নেতারা প্রতিবাদকে সমর্থন করে গেলে তাঁদের ফল ভুগতে হবে।''

.