This Article is From Nov 07, 2018

মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হলেন দুই মুসলমান মহিলা, তাঁদের মধ্যে একজন রিফিউজি

মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী রইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রথম দুজন মুসলিম মহিলা মার্কিন কংগ্রেসের অংশ হিসেবে নির্বাচিত হল।

মার্কিন কংগ্রেসে নির্বাচিত হলেন দুই মুসলমান মহিলা, তাঁদের মধ্যে একজন রিফিউজি

একজন সোমালিয়ার রিফিউজি। আরেকজনের বাবা প্যালেস্টাইন থেকে আসা শরণার্থী।

হাইলাইটস

  • একজনের বয়স ৩৭। আরেকজনের ৪২।
  • ইলহান ওমর জিতেছেন মিনেসোটা থেকে
  • রশিদা জিতেছেন ডেট্রয়েট থেকে
শিকাগো:

মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী রইল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রথম দুজন মুসলিম মহিলা মার্কিন কংগ্রেসের অংশ হিসেবে নির্বাচিত হল।  একজন সোমালিয়ার রিফিউজি এবং আরেকজন প্যালেস্টাইনে থেকে আসা শরণার্থীর কন্যা। একজনের নাম ইলহান ওমর। বয়স ৩৭। অপরজনের নাম রশিদা ত্লাইব। বয়স ৪২। দুজনেই ডেমোক্র্যাট। এবং, সংখ্যালঘুদের জন্য লড়াই করেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শরণার্থী নীতি নিয়ে বারবার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাঁরা। মিনেসোটার মিনিয়াপোলিস থেকে জিতেছেন ইলহান ওমর। যাঁকে হারিয়েছেন, তাঁর নাম কিথ এলিসন। তাইবের জয় যদিও অপ্রত্যাশিত ছিল না। তিনি যেতেন মিশিগান থেকে। 

 

"আমি মুসলমান এবং কালো", সম্প্রতি হিজাব পরে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এক ম্যাগাজিনকে এই কথা বলেন ইলহান ওমর৷ তিনি আরও বলেন, "আমি রাজনীতিতে এসেছি আমার মতো বহু মানুষের আর্তির কণ্ঠস্বর হয়ে"। 

 

সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় মাত্র আট বছর বয়সে ওই দেশ থেকে বাবা-মা'র সঙ্গে পালিয়ে আসেন তিনি। কেনিয়ার শরণার্থী শিবিরে ছিলেন তারপর চার বছর। ১৯৯৭ সালে মিনেসোটায় আসে তাঁর পরিবার। 

 

অন্যদিকে, রশিদা ত্লাইবের জন্ম ডেট্রয়েটে। তাঁর বাবা ছিলেন প্যালেস্টাইনের শরণার্থী। ১৪জন ভাইবোনের মধ্যে রশিদাই জ্যেষ্ঠ। গত অগস্ট মাসে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, "আমি রাজনীতি করছি সেই সমস্ত মানুষদের জন্য, যাঁরা বারবার আমার ধর্মের মানুষকে তাঁদের ধর্ম পরিচয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করে। ওই মানুষগুলোকে জবাব দেওয়া প্রয়োজন। আমি কখনও মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে গলা ফাটানোয় বিশ্বাস করি না। তাই লড়াইয়ের জন্য সরাসরি রাজনীতির ময়দানটাকেই বেছে নিয়েছি"।

.