This Article is From Jun 14, 2019

রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক: মমতা

রাজ্যে সিপিআইএম ও বিজেপির মধ্যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যহত হওয়ার পিছনে তাদের দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরিতে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক: মমতা
কলকাতা:

রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করার জন্য দলের কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছেন বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah), বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। রাজ্যে সিপিআইএম ও বিজেপির মধ্যে মধুর সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ করে চিকিৎসকদের বিক্ষোভ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যহত হওয়ার পিছনে তাদের দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি এই বিক্ষোভের নিন্দা করি। জুনিয়র চিকিৎসকদের বিক্ষোভ সিপিআইএম ও বিজেপির চক্রান্ত”। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) । সেখানেই এই অভিযোগ করেন তিনি। গত তিন ধরে স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিতেই এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী।

রোগীদের ভোগান্তি হচ্ছে, চিকিৎসকদের ধর্মঘটে প্ররোচনা দিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি: মমতা

মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “সিপিআইএমের সাহায্য নিয়ে হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছে বিজেপি। তাদের মধুর সম্পর্ক দেখে আমি অবাক”। তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরির জন্য দলীয় কর্মীদের উৎসাহ দিচ্ছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ(Amit Shah)।  বিজেপি নেতা মুকুল রায় অভিযোগ করেন, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের লোকেরা চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালিয়েছে এবং হামলাকারীরা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত।

হেলমেট পরে চিকিৎসা করে বাংলার সমর্থনে AIIMS চিকিৎসকরা, কাল বয়কটের ডাক

লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ প্রায় লেগেই রয়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে ৪২ আসনের মধ্যে ১৮টি আসনে পদ্মফুল ফোটে, তৃণমূল পায় ২২টি আসন। গতবার লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে বিজেপি পেয়েছিল ২টি আসন, অন্যদিকে, তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি আসন।

মমতার বিরুদ্ধে তোপ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী থেকে পদত্যাগের দাবি বিরোধীদের

দুই দলের মধ্যে সংঘাত চরম আকার নেয় বসিরহাটের সন্দেশখালির ঘটনায়। গত শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই ঘটনায় তিনজনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট হাসপাতালে। সেখানেই দুজনকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করে বিজেপি, তৃতীয়জন তাদের কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল কংগ্রেস।নিহত তৃতীয় ব্যক্তি কায়ুম মোল্লা, তাদের দলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করে তৃণমূল নেতৃত্ব।  

সন্দেশখালির ঘটনায়(Sandeshkhali clashes) নিহত প্রদীপ মণ্ডল এবং সুকান্ত মণ্ডলের ভাঙ্গিপাড়ার বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায় । অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে নিহতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। শনিবার সন্দেশখালির ঘটনায়(Sandeshkhali clashes) মৃত্যু হয় কায়ুম মোল্লা নামে এক যুবকের, তিনি তাদের দলীয় কর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের কর্মীদের ওপর বিজেপি হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) হাতেই রয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতরও। সেই দফতর তাঁর ছেড়ে দেওয়া উচিত বলে দাবি করেছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সরকার ফেলে দিতে পরিকল্পনা করে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে” বিজেপি।

.