২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার জনপ্রিয় ‘হোলি আর্টিজান ক্যাফে’-তে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার গুলশনে জঙ্গি হামলার রায় ঘোষিত হল বুধবার। আদালত অভিযুক্ত আট জনের মধ্যে সাত জনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। একজনকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। ‘ঢাকা ট্রিবিউন' -এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে একথা জানা গিয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের দাবি, তারা সুবিচার পায়নি। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক মুজিবর রহমান মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন অভিযুক্ত রাজীব গান্ধি, রাকিবুল হাসান রেগান, আসলাম হোসেন, আবদুস সাবুর খান, হাদিসুর রহমান সাগর, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ রিপন। অন্য অভিযুক্ত মিজানুর রহমান ওরফে বোরো মিজানকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। গত ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার জনপ্রিয় ‘হোলি আর্টিজান ক্যাফে'-তে জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। ২২ জন নিহত হন ওই হামলায়।
নিহতদের মধ্যে ১৭ জন ছিলেন বিদেশি। এঁদের মধ্যে একজন ভারতীয় মহিলাও ছিলেন। তাঁর নাম ছিল তারিশি জৈন। তিনি বার্কলেতে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন। ঢাকায় ছুটি কাটাতে এসেছিলেন তিনি।
আইএএনএস সূত্রে জানা যাচ্ছে, তাঁর শেষ ফোন এসেছিল তাঁর পরিবারের কাছে। তখন তিনি শৌচাগারে লুকিয়ে জঙ্গিদের হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছিলেন। তিনি ফোন করে জানিয়েছিলেন, ‘‘আমি শৌচাগারে লুরিয়ে রয়েছি বন্ধুদের সঙ্গে। আমার মনে হচ্ছে ওরা আমাদের একে একে মেরে ফেলবে।''
কয়েক দিন আগেই ঢাকার সন্ত্রাস-বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৭ নভেম্বর রায় ঘোষিত হবে। এদিন রায় ঘোষণার আগে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল।
অনুসন্ধানকারীরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছিলেন, ২০১৬ সালের ১ জুলাই ছ'জন জঙ্গি ছিল ওই জঙ্গি হানায়। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে ছিল ঢাকা ক্যাফের জঙ্গি হানার মূল চক্রী তামিম চৌধুরী। পরের দিন সেনা কম্যান্ডোদের গুলিতে তারা খতম হয়। এরপর আটজন অভিযুক্তকে পরে গ্রেফতার করা হয়। শুনানির সময় বিচারকের সামনে তাদের হাজির করা হয়।
১১৩ জন সাক্ষীর কথা শোনার বিচারক মুজিবর রহমান রায় ঘোষণার কথা জানান।
আইসিস ওই হানার দায় নিতে চাইলেও বাংলাদেশ কোনও বিদেশি জঙ্গি দলের অস্তিত্ব স্বীকার না করে জানিয়ে দেয় কোনও দেশি জঙ্গি গোষ্ঠীই এই হামলা চালিয়েছে।
দু'বছর ধরে তদন্ত চলার পর গত ২০১৮ সাল এর ২৩ জুলাই বিচার শুরু হয়।