এই মন্দিরে হোলিকা দহনের ইতিহাস কী?
নিউ দিল্লি: আগামীকাল দেশজুড়ে পালিত হবে হোলিকা দহন। তারপরেই দোল উৎসব। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ভারতের এই অন্যতম বিখ্যাত রঙের উৎসবের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও বিশেষভাবে সম্পর্কযুক্ত? মনে কতা হয় যে, হোলি উৎসবের শুরু ভারতে নয় বরং পাকিস্তানে। এর পেছনে অত্যন্ত বিশেষ কারণটি হ'ল পাকিস্তানের মুলতান শহরে অবস্থিত প্রহ্লাদপুরী মন্দির (Prahladpuri Temple)। মনে করা হয় যে, হিরণ্যকশিপুর (Hiranyyakshyap) পুত্র প্রহ্লাদ নরসিংহের (বিষ্ণু অবতার) একটি মন্দির নির্মাণ করেন যা বর্তমানে পাকিস্তানের মুলতানে অবস্থিত। এখানে দুই দিন ধরে হোলিকা দহন (Holika Dahan) উৎসব এবং নয় দিন ধরে হোলি পালিত হয়।
‘ভাই ছিল বলে বেঁচে গেছি'! এরিকসনের বকেয়া মিটিয়ে মুকেশকে ধন্যবাদ অনিলের
পাকিস্তানের মুলতানে অবস্থিত প্রহ্লাদপুরী মন্দির
গণধর্ষণ করে ১২ বছরের কিশোরীর মুন্ডু কেটে ফেলে দিল নিজের কাকা ও ভাইরা
এই স্থানটিতে ভারতবর্ষে উদযাপিত জন্মাষ্টমীর মতো দোলের দিন হাঁড়ি ফাটানো হয়। অনেক উঁচুতে হাঁড়ি বাধা হয় তারপর পিরামিডের আকারে একজনের উপর একজন মানুষ চেপে সেই মাখন এবং মিছরি ভরা হাঁড়ি ভাঙা হয়। পাকিস্তানের মুলতান এই উৎসবকে চক-পূর্ণ পরব বলা হয়। ভারতে বাবরি মসজিদ ধ্বসের পরে পাকিস্তানে অনেক হিন্দু মন্দিরও ধ্বংস করা হয়, যার মধ্যে একটি ছিল প্রহ্লাদপুরী মন্দির।
কিন্তু এখন এই মন্দিরটিতে থাকা নরসিংহের মূর্তিটি হরিদ্বারে আছে। বাবা নারায়ণ দাস বাত্রা মূর্তিটি ভারতে নিয়ে আসেন। নারায়ণ দাস একজন বিখ্যাত সন্ন্যাসী, যিনি বহু বিদ্যালয় ও কলেজ নির্মাণ করেছেন। সমাজের উন্নয়নের কাজ করার জন্য ২০১৮ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি।