মন খারাপ করা বাঙালিকে আশার আলোই দেখাতে চলেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দোল উৎসবে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে রঙ খেলা বাঙালির কাছে এক উন্মাদনা, এক ঐতিহ্যও। তবে ভিড় এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গিয়েছে গত বছর যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিখ্যাত উৎসবটিকে এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এখন ‘বসন্ত উত্সব' নির্ধারিত দিনেই আয়োজনে ইচ্ছুক কর্তৃপক্ষ, কেবল শর্ত একটাই! যদি পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই অনুষ্ঠানের জন্য পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরবরাহ করে তবেই নির্ধারিত সময়েই আয়োজন হবে রঙের উৎসবের।
এর আগে আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ের উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন ঐতিহ্যশালী বসন্ত উত্সব ৯ মার্চের পরিবর্তে ১৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ‘বসন্ত উত্সব' আয়োজনের দিনক্ষণ খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। রাজ্য সরকার যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা এবং অন্যান্য সম্পর্কিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করে তাহলে উত্সবটি ৯ মার্চ উদযাপিত হতে পারে,” শুক্রবার সন্ধ্যায় বলেন বিশ্বভারতীর মুখপাত্র অনির্বাণ সরকার।
একদিন এগিয়ে এল বইমেলার উদ্বোধন
তিনি আরও জানান, কমিটির সদস্যরা শিগগিরই বৈঠকে বসবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। তারা এই উৎসবের তারিখ নিয়ে আলোচনা করবেন।
অনির্বাণ সরকার এর আগে পিটিআইকে জানিয়েছিলেন যে, গতবারে ব্যাপক ভিড়ের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল। সেই সময় থেকেই ২০২০ সালে ঠিক কবে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করা যায় তা নিয়ে ভাবনা চিন্তাও শুরু হয়।
গানে গানে ১০-এ অরিজিত, উদযাপনে গড়িয়া মিতালি সংঘ
তবে এই অনুষ্ঠানকে অন্য একট দিনে আলাদা করে আয়োজনের প্রস্তাব বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং পড়ুয়াদের একটি অংশের মধ্যে বিক্ষোভের জন্ম দেয়। প্রতিবার ‘বসন্ত উত্সব' বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভিতরেই অনুষ্ঠিত হয়।