This Article is From Mar 07, 2020

ন্যাড়া পোড়া কী? কেন পালন করবেন এই আচার?

বাংলায় এই বিশেষ পর্বের নাম ন্যাড়া পোড়া। যা নিয়ে মজার ছড়াও প্রচলিত, 'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।'

ন্যাড়া পোড়া কী? কেন পালন করবেন এই আচার?

Holika Dahan: হোলিকা দহন বাংলায় ন্যাড়া পোড়া

হাইলাইটস

  • হোলিকা দহন মানে শুভ শক্তির জয় অশুভের পরাজয়
  • দোলের আগের দিন হয় হোলিকা দহন
  • হোলিকা দহনের ছাই টিকা তিলক হিসেবে পরেন অনেকে
নয়া দিল্লি:

অশুভকে বিনাশ করে শুভ শক্তির জয় উদযাপনই হোলি উৎসব ((Holi) ২০২০)। রঙের পাশাপাশি তাই ন্যাড়া পোড়াকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। যা নিয়ে বাংলায় মজার ছড়াও প্রচলিত, 'আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া কাল আমাদের দোল, পূর্ণিমাতে চাঁদ উঠেছে বল হরি বোল।' হোলির একদিন আগে অনুষ্ঠিত হয় হলিকা দহন। তার জন্য আগে থেকে শুকনো ডাল, কাঠ এবং শুকনো পাতা জোগাড় করা হয়। তারপরে ফাগুন পূর্ণিমার সন্ধ্যায় পোড়ানো হয় সমস্ত স্তূপাকার করে। এই দহন অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক।

Holi 2020: রাঙিয়ে দিয়ে যাক হোলি অর্গ্যানিক রঙে

ন্যাড়া পোড়া কবে?

হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে, প্রতি বছর ফাগুন পূর্ণিমা রাতে ন্যাড়া পোড়া হয়। এবছর ৯ মার্চ ন্যাড়া পোড়ার দিন স্থির হয়েছে। হোলি উদযাপিত হবে পরের দিন ১০ মার্চ। কথিত আছে, হোলির আট দিন আগে ভক্ত প্রহ্লাদের ওপর রাক্ষসরাজ হিরণ্যকশিপু প্রচণ্ড নির্যাতন করেছিলেন। এই সময়কে বলা হয় হোলাষ্টক। কোনও শুভ কাজ এই সময়ে হয় না। ন্যাড়া পোড়া পালন করে সমস্ত অশুভ মুছে তারপর শুরু হয় পূজার্চনা। 

ন্যাড়া পোড়ার শুভ সময়

ন্যাড়া পোড়ার তারিখ: ৯ মার্চ ২০২০
পূর্ণিমা তিথির আরম্ভ: ৯ মার্চ ভোর ৩টে তিন মিনিটে
পূর্ণিমা তিথি শেষ: ওই দিন রাত ১১টা ১৭ মিনিটে 
ন্যাড়া পোড়া​র সময়: সন্ধে ৬টা ২৬ থেকে রাত ৮টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত

ন্যাড়া পোড়ার গুরুত্ব

ন্যাড়া পোড়া মন্দের উপর ভালোর জয়ের প্রতীক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আসছে যুগে যুগে। তাই ন্যাড়া পোড়ার পর সবাই সেই ছাই  শরীর ও কপালে ছোঁয়ায়। বিশ্বাস, এতে অশুভ শক্তি ছায়া ফেলতে পারে না জীবনে। ভক্ত প্রহ্লাদ যেমন তাঁর ভক্তি ও ইচ্ছার জোরে প্রতিবার পিতার কু-প্রবৃত্তি থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। তেমনি ন্যাড়া পোড়ার অর্থ, শুভ শক্তির কাছে অশুভকে মাথা নোয়াতেই হবে।

Holi 2020: রঙিন হোন আবির-গুলালে, সঙ্গী রকমারি ঠাণ্ডাই 

ন্যাড়া পোড়ার পুজোর উপকরণ 

গোবর, মালা, গোবরের তৈরি হোলিকা আর প্রহ্লাদের মূর্তি, ফুল, মালা, সাদা সুতো, গুড়, গোটা হলুদ, মুগ ডাল, আবির, নারকেল, পাঁচ ধরণের শস্য, গুজিয়া, মিষ্টি, ফলমূল, সাবান।

পুজোর নিয়ম

-ন্যাড়া পোড়ার আগে পুজোর উপকরণ ছাড়াও চারটি মালা আলাদা করে রাখুন।
-এই মালাগুলির মধ্যে একটি পূর্বপুরুষের, একটি হনুমানজির, একটি শীতলা মায়ের এবং চতুর্থটি পরিবারের উদ্দেশ্যে।
-ন্যাড়া পোড়ার আগে সুতো দিয়ে স্তূপাকৃতি উপকরণের চারপাশ বেঁধে দিন।
- তারপর তিন বা সাতবার প্রদক্ষিণ করুন।
- এবার ন্যাড়া পোড়ায় পুজোর বাকি সমস্ত উপকরণ রাখুন।
- জল দিয়ে অর্ঘ্য দিন।
- বাড়ির সদস্যদের কপালে তিলক লাগান।
- এর পরে হোলিকায় আগুন দিন।
-বিশ্বাস, ন্যাড়া পোড়ার ছাই বাড়িতে আনা শুভ।
- পরের দিন ভোরে উঠে পূর্বপুরুষদের তর্পণ করুন।
- পরিবারের সবার কপালে আবির ছোঁয়ান।

Holi 2020: ভুবন রঙিন আবির-ফাগে, চোখ থাকুক নিরাপদে

ন্যাড়া পোড়ার কাহিনি

পৌরাণিক মতে, বহু যুগ আগে অত্যাচারী রাজা হিরণ্যকশিপু প্রজাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, কেউ ঈশ্বরের উপাসনা করে পারবে না। তাঁর ছেলে প্রহ্লাদ বিষ্ণুর উপাসক ছিলেন। বাবার আদেশ অমান্য করায় হিরণ্যকশিপু ছেলেকে শাস্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি প্রহ্লাদকে তার বোন হোলিকার কোলে বসিয়ে দু'জনের গায়েই আগুন ধরিয়ে দেন। ঈশ্বরের বরে প্রাণে রক্ষা পান প্রহ্লাদ। পুড়ে ছাই হন হোলিকা। সেই বিশ্বাস থেকে আজও পালিত হয় ন্যাড়া পোড়া।

Click for more trending news


.