প্রথমে জম্মু ও পরে কাশ্মীর উপত্যকায় যেতে পারেন অমিত শাহ।
হাইলাইটস
- জম্মু ও কাশ্মীরে আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ
- জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসী সহ অমরনাথের তীর্থযাত্রীরা
- কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করেছে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ জানিয়ে
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) আসতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। প্রথমে জম্মু ও পরে কাশ্মীর উপত্যকায় যেতে পারেন তিনি। গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) সন্ত্রাসবাদী (Terrorist) হামলার আশঙ্কায় ওই তীর্থযাত্রা মাঝপথেই স্থগিত করে দেওয়ার পরে যে কোনও মুহূর্তে কাশ্মীর উপত্যকায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসী সহ অমরনাথের তীর্থযাত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে জম্মু ও কাশ্মীরে আসতে পারেন অমিত শাহ। সংসদের অধিবেশন শেষ হলেই তিনি এখানে আসবেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত শুক্রবার রাজ্য সরকার অমরনাথের তীর্থযাত্রীদের দ্রুত এলাকা ছাড়তে বলে। জানিয়ে দেওয়া হয় গোয়েন্দাদের তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে সন্ত্রাসবাদী হামলার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এমন ঘোষণার পরে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকানবাজার, ওষুধের দোকান এবং এটিএমের বাইরে বহু মানুষের ভিড় চোখে পড়ে। আতঙ্কিত পর্যটক ও তীর্থযাত্রীরা, যাঁদের মধ্যে বহু বিদেশিও রয়েছেন, তাঁরা শনিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে ভিড় জমিয়েছেন। তাঁদের অনেকেরই কাছে বিমানের টিকিট নেই।
কাশ্মীর নিয়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, অভিযোগ করল কংগ্রেস
কেবল সাধারণ মানুষই নয়, আতঙ্ক ছড়িয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের মধ্যেও। তাঁরা মনে করছেন, কেন্দ্র হয়তো সংবিধানের ‘আর্টিকল ৩৫এ' বদলে দিতে পারে। এই ‘আর্টিকল ৩৫এ' রাজ্যের বাসিন্দাদের অধিকার দিয়েছে রাজ্যের সরকারি চাকরি ও জমিরা মালিকানায়।
রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, এমন কোনও পরিকল্পনা নেই।
কেরান সেক্টর দিয়ে পাক অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে প্রবেশের চেষ্টা রুখল সেনা, নিহত পাঁচ
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা দাবি করেছেন, সরকারকে সংসদে রাজ্যের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' নিয়ে বিবৃতি দিতে হবে।
শনিবার কংগ্রেস এমন ঘোষণার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দা করে বলে, এই ঘোষণার ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ‘‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ ভয় পাইয়ে দিয়েছে নাগরিকদের। পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের এভাবে এলাকা ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ... সরকার চাইছে ঘৃণার বাতাবরণ তৈরি করতে। বলতে চাইছে কাশ্মীর বহিরাগতদের জন্য নিরাপদ নয়। ভারত সরকারের এমন সিদ্ধান্তের আমরা নিন্দা করছি।''
সপ্তাহের শুরুতেই অতিরিক্ত আধা সামরিক বাহিনী কাশ্মীরে আনার সময় থেকেই সম্ভাব্য জঙ্গি হানার আশঙ্কার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল।