স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর বিষয়ে বক্তব্য রাখছেন।
হাইলাইটস
- অমিত শাহ সকাল ১১টায় সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে বক্তব্য রাখবেন
- সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক ঘণ্টার বৈঠক অমিতের
- তারপর মন্ত্রিসভার বৈঠক হয় প্রধানম্ন্তীর বাসভবনে
নয়াদিল্লি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) সকাল ১১টায় সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর (J&K) বিষয়ে একটি বিবৃতি পেশ করবেন বলে সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে। সোমবার সকালে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) আবাসস্থলে মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে এক ঘণ্টার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। জম্মু ও কাশ্মীরের অস্থির পরিস্থিতি ও মধ্যরাতে রাজ্যের প্রধান রাজনীতিবিদদের নজরবন্দি করার বিষয়ে ওই বৈঠক। রাজ্যের তিন মুখ্য রাজনীতিবিদ মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং সাজাদ লোনকে তাঁদের বাড়িতে নজরবন্দি করে রাখা হয়েছে রবিবার রাত থেকে। অধিক সংখ্যক মানুষের জমায়েত এবং জনসভা নিষিদ্ধ করা হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে। মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয় সুরক্ষা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার কমিটির ছোট্ট একটি বৈঠকের পরেই। ওই কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজনাথ সিংহ, অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন এবং এস জয়শঙ্কর।
Jammu And Kashmir LIVE Updates: বন্ধ মোবাইল ও ল্যান্ডলাইন পরিষেবা, রাজ্যের বহু এলাকায় জমায়েত নিষিদ্ধ
সূত্র জানাচ্ছে, অমিত শাহ প্রথমে রাজ্যসভা ও পরে লোকসভায় এই নিয়ে বক্তব্য রাখবেন। জানা যাচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলবেন জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (দ্বিতীয় সংশোধনী) বিল, ২০১৯ নিয়ে।
জম্মু ও কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত সপ্তাহ থেকেই সেখানে অতিরিক্ত আধা সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। শুক্রবার সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের দ্রুত রাজ্য ছেড়ে চলে যেতে হবে। ওই ঘোষণার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যে। বাসিন্দাদের দেখা যায় দ্রুত দোকানবাজারে ভিড় করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত করতে।
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহেবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে নজরবন্দি করা হল
এই নিষেধাজ্ঞা জারি করার সিদ্ধান্তে জম্মু ও কাশ্মীরের অনেক রাজনীতিবিদ মনে করছেন হয়তো এর পিছনে রাজ্যের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' বদলের কোনও পরিকল্পনা থাকতে পারে। সংবিধানের ৩৫এ ও ৩৭০ ধারা অনুযায়ী এই স্পেশাল স্ট্যাটাস পায় জম্মু ও কাশ্মীর। শাসক বিজেপি তাদের নির্বাচনী ইস্তেহারে এই দু'টি ধারার বিরুদ্ধে তাদের মত জানিয়েছিল।
রবিবার এ বিষয়ে নিজের আশঙ্কা প্রকাশ করেন ওমর আবদুল্লা। ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা দাবি করেন, অমরনাথ যাত্রা স্থগিত করে পর্যটকদের সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া কোনও সম্ভাব্য আশু বড় ঘটনার ইঙ্গিত হতে পারে।
একটি বৈঠকেফারুক আবদুল্লা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দলগুলি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে একটি প্রতিনিধি দল পাঠাবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও ওই দল যাবে। তারা জানিয়ে দেবে, সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫এ ধারা বদলের কোনও চেষ্টা যাতে না হয়।
ওই বৈঠকের পরে রবিবার রাতেই নজরবন্দি করা হয় মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লা এবং সাজাদ লোনকে।
ওমর আবদুল্লা টুইটে জানিয়েছেন, ‘‘আমি জানি আমাকে মধ্যরাত থেকে নজরবন্দি রাখা হয়েছে এবং এরই মধ্যে অন্যান্য মুখ্য নেতাদের ক্ষেত্রেও এই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করা হচ্ছে। সত্যি কিনা জানার উপায় নেই। কিন্তু যদি সত্যি হয়, আমি আপনাদের সকলকে দেখাব অন্যদিকে কী রয়েছে। আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন।''
কাশ্মীরের নেতাদের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-মার্কসিস্ট-এর মুখ্য সীতারাম ইয়েচুরি।