মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে একেকটি কিটের দাম 200 থেকে 300 টাকা।
নিউ দিল্লি: ধর্ষণের মতো ঘটনার তদন্তে গতি আনতে উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক। সারা দেশের বিভিন্ন থানা যাতে দ্রুত ধর্ষণ থেকে শুরু করে নারী নির্যাতনের মতো ঘটনার তদন্ত করতে পারে তার জন্য 5 হাজারটি বিশেষ কিট দিচ্ছে মন্ত্রক।
সাধারণ ভাবে বেছে নেওয়া দেশের বিভিন্ন থানায় এরকম 5টি করে কিট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। শুধু তাই নয় এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে রাজ্যগুলিকেও অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই কিটগুলিতে থাকবে নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষার ব্যবস্থা। একই সঙ্গে ঘটনার রক্ত ও ঘামের মতো নমুনাও সংগ্রহ করা যাবেও এই কিটের সাহায্যে। প্রতিটি কিটে থাকবে বেশ কয়েকটি করে টেস্ট টিউব। মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে একেকটি কিটের দাম 200 থেকে 300 টাকা।
গত সপ্তাহেই নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী ম্যানেকা গান্ধি রাজ্য সরকারগুলিকে কিট কিনতে অনুরোধ করেন। আগ্রহ দেখিয়ছে বেশিরভাগ রাজ্যই। হরিয়ানা ইতিমধ্যে নিজেদের চাহিদার কথাও জানিয়ে দিয়েছে।
কিটের প্রয়োজন পড়ে কেন? নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, বেশিরভাগ যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে ঘটনার ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা পড়ে না। পড়লেও তা থেকে অনেক সময়ই কোনও সূত্র খুঁজে বের করা যায় না। খোদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই একবার বলেছিলেন প্রতি বছর প্রায় 13,000টি ধর্ষণের ঘটনায় জমা পড়ে না ফরেন্সিক রিপোর্ট। কিন্ত এই সমস্ত কিট তৈরি হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে। ফলে নির্যাতনের ঘটনায় সুবিচারের আশা বেড়ে যায় অনেকটাই।
শুধু কিট কেনা নয়, ফরেন্সিক গবেষণাগারের সংখ্যাও বাড়ানোর হচ্ছে। নির্ভয়া ফান্ডের টাকায় দেশের নানা প্রান্তে আরও পাঁচটি ফরেন্সিক পরীক্ষাগার তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
ধর্ষণের মতো ঘটনা গত কয়েক বছরে বেশ কিছুটা বেড়েছে । তথ্য বলছে 2016 সালে দেশে 38,947 টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। 2015 সালে সেই সংখ্যাটা ছিল34,651এবং 2014 সালে 36,735 । আর সন মিলিয়ে 2016 সালে নারীদের সঙ্গে মোট 3,38,954টি নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। 2015 এবং 2014 সালের সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে 3,29,243 এবং 3,39,457। এই হিসেব অনুসারে নারীদের সঙ্গে হওয়া নির্যাতনের 12 শতাংশই ধর্ষণ ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)