ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে পার্কের বেঞ্চ থেকে উঠে ক্যাসারেজ রাস্তার পাশে দাঁড়ান প্ল্যাকার্ড নিয়ে
গৃহহীন এক মানুষ, রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর বায়োডাটা বিলি করে বেড়াচ্ছেন। এই দৃশ্যটির একটি ছবি ট্যুইটারে ভাইরাল হওয়ার পরই হু হু করে এসে চলেছে চাকরির প্রস্তাব।
ছবিটি সুন্দর একটি শার্ট, উপযুক্ত প্যান্ট –টাই সজ্জিত ওয়েব ডেভেলপার ডেভিড ক্যাসারেজের। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ডেভিড একটি হাতে লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন। যাতে লেখা আছে, “গৃহহীন। সাফল্যের জন্য ক্ষুধার্ত। বায়োডাটা নিয়ে দেখুন।“ তিনি নিজেও সেই সময় জানতেন না, তাঁর সামান্য একটি ছবি আর ট্যুইট এভাবে ভাইরাল হয়ে পড়বে।
পথচলতি এক মানুষ এভাবে ডেভিডকে দেখে তাঁর একটি ছবি তোলেন এবং তাঁকে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ছবিটি সহ ট্যুইট করেন। এর পরেই ছবিটি এতখানিই ভাইরাল হয়ে পড়ে যে ক্যাসারেজ প্রায় 200 টিরও বেশি চাকরির প্রস্তাব পান।
“গুগলের তরফ থেকেও আমার কাছে চাকরির প্রস্তাব এসেছে”, বলেন 26 বছর বয়সী ডেভিড। তিনি আরও বলেন, "বিটকয়েন ডট কমের একজন প্রোডাক্ট ম্যানেজার আমাকে জিজ্ঞেস করেন আমি অন্যত্র থেকে কাজ করতে পারব নাকি আমি টোকিওতে শিফট করে যাব চাকরির জন্য।”
ডেভিড তথ্য ব্যবস্থাপনায় স্নাতক। গত এক বছর ধরে নিজের গাড়িতেই দিন কাটাচ্ছেন তিনি।এর আগে ওয়েব ডিজাইন এবং লোগো ডিজাইনের ফ্রিল্যান্স কাজ করেছেন তিনি।
তিনি জানুয়ারিতে অ্যাপল-এর একটি ইন্টারভিউয়েও যোগ্যতা অর্জন করেন। কিন্তু চাকরিটি অভ্যন্তরীণভাবে পূর্ণ হয়ে গিয়েছে বলেই খবর।
তাই 27 শে জুলাই, ক্যালিফোর্নিয়ার মাউন্টেন ভিউতে পার্কের বেঞ্চ থেকে উঠে ক্যাসারেজ রাস্তার পাশে দাঁড়ান প্ল্যাকার্ড নিয়ে। এমনকি তার ভবিষ্যত নিয়োগকর্তাদের কাছে নিজেকে প্রেজেন্টেবল করার জন্য সুন্দর জামাকাপড়েও সেজে আসেন তিনি।
জেসমিন স্কোফিল্ড তাঁর ছবি তুলে পোস্ট করার পরেই জীবনে অন্য বাঁক আসে ক্যাসারেজের।
শনিবার পোস্ট করা এই ছবিটি এখনও পর্যন্ত 2.1 লক্ষ লাইক পেয়েছে। 1.3 লক্ষেরও বেশিবার রি-ট্যুইটেডও হয়েছে পোস্টটি।
জেসমিন আরও ট্যুইট করেছেন,
"গুগল, নেটফ্লক্স, লিঙ্কডইন, এবং অন্যান্য অনেক কোম্পানি ইতিমধ্যেই পৌঁছেছে ডেভিডের কাছে।"
"এত দ্রুত বিষয়টি ঘটেছে যে নিজেরই অবাক লাগছে। আমি এই ধরণের প্রতিক্রিয়া আশা করিনি"- বলেন ক্যাসারেজ।
ক্যাসারেজের ঘটনাটি অনেকেরই হৃদয় স্পর্শ করেছে ইতিমধ্যে। একজন ট্যুইটারকারী পোস্ট করেছেন, "আমরা একে অন্যকে সাহায্য করার মাধ্যমে এই দুনিয়াকে আরও ভাল করে তুলতে পারি।" "আমি অল্প দিনই হল টুইটারে এসেছি এবং এটি আমার প্রিয় পোস্টগুলোর অন্যতম,"- বলছেন আরেকজন।
Click for more
trending news