এই ঘটনাটি বুধবার কেপি ডোডি গ্রামে ঘটেছে
হাইলাইটস
- অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলার এই ভিডিও দেখলে কেঁপে উঠবে
- ঘটনাস্থলে গ্রামের অনেকেই উপস্থিতি ছিলেন
- নাবালিকাকে লাঠি দিয়েও বেশ কয়েকবার মারা হয়
হায়দ্রাবাদ: অন্ধ্র প্রদেশের (Andhra Pradesh) অনন্তপুর জেলার এই ভিডিও দেখলে কেঁপে উঠবেন আপনিও। এখানকার এক গ্রামের একটি নাবালিক মেয়েকে মারধরের ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে।ঘটনাস্থলে গ্রামের অনেকেই উপস্থিতি ছিলেন, তাদের সামনেই গ্রামের প্রবীণরা নাবালিকাকে মারধর করেন। এই ঘটনার ভিডিওটিও ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। প্রসঙ্গত, নাবালিকা মেয়েটির বিরুদ্ধে তার ২০ বছরের আত্মীয়কে নিয়ে পালানোর অভিযোগ রয়েছে। পরে এই যুগলকে ধরা হয় এবং গ্রামবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হয় এবং যাতে এমন ঘটনা ভবিষ্যতে না ঘটে, সেই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে দুজনকেই। এই ঘটনাটি কেপি ডোডি গ্রামের।
এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি ২০ বছর বয়সী ব্যক্তি মাটিতে বসে আর তথাকথিত গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। মেয়েটির দেওয়া জবাব শুনে তারা হঠাৎই ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং তাকে মারধর করতে শুরু করে। নাবালিকাকে লাঠি দিয়েও বেশ কয়েকবার মারধর করা হয়। অনন্তপুর জেলা পুলিশ প্রধান বি ইয়েছুবাবু এনডিটিভিকে বলেছেন, গ্রামের কোনো ব্যক্তি এমনকি মেয়েটির বাবা-মাও প্রবীণদের বিরুদ্ধে কোনো রকম অভিযোগ করতে এগিয়ে আসেনি।"বড়োরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে, তাই অভিযোগ করার কোনো প্রশ্নই নেই।"বলেই জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
পুলিশের পক্ষ থেকে মহিলা কনস্টেবলকে মেয়েটির কাছে পাঠানো হচ্ছে, সে কোনো অভিযোগ দায়ের করে কিনা তা জানার জন্য। প্রসঙ্গত, ছেলেটির সাথে যেহেতু মেয়েটির শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে, তাই যৌন অপরাধ বা পোকসো থেকে শিশুদের সুরক্ষার অধীনে মামলাটি দায়ের করা হবে কিনা তা দেখা হচ্ছে। যদি কোন ভাবেই কোনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা না হয় তবে পুলিশ এসসি / এসটি অত্যাচার প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করবে।
বালালা হাক্কুলা সংঘামের শিশু অধিকার কর্মী অচ্যুত রাও বলেছেন যে তিনি শিশু অধিকার সংরক্ষণ জাতীয় কমিশনকে সতর্ক করছেন এবং জেজে আইনের আওতায় শিশুদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা ও নির্মমতার মামলা দায়ের করা উচিত বলে দাবি করেছেন। অচ্যুত রাও বলেছিলেন, "এই অন্যায়টি একেবারেই জেনে বুঝে করা হয়েছে, তাই এমন ঘটনার ক্ষেত্রে কেউই আইন নিজের হাতে নিতে পারে না। তবে সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এই ঘটনা বহু লোকের সামনে ঘটলেও, সকলেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।