Read in English
This Article is From Nov 26, 2019

এই হোটেলেই দেবেন্দ্র-বিদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন শরদ পাওয়ার

মঙ্গলবার সকালে ভাইপো অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ট্রিডেন্ট হোটেলে বৈঠক করেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by (with inputs from IANS)

মুম্বইয়ের ট্রিডেন্ট হোটেলে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পরেই মহারাষ্ট্রের পদ থেকে ইস্তফা দেন অজিত পাওয়ার

মুম্বই:

মঙ্গলবার সকালে মুম্বইয়ে ট্রিডেন্ড হোটেলে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) এবং তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারের (Ajit Pawar) বৈঠকই, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Devendra Fadnavis) চারদিনের সরকারে শেষ পেরেক পুঁতে দেয়। সেই বৈঠকের পরেই, পদত্যাগ করেন অজিত পাওয়ার, এবং তারপর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছে, কাকা-ভাইপোর বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি সাংসদ সুপ্রিয়া সুলে, দলের পরিষদীয় নেতা জয়ন্ত পাতিলও। জানা গিয়েছে, এনসিপি সমস্ত নেতারাই অজিত পাওয়ারকে বোঝান, তিনি দলে ফিরলে সম্মান ফিরে পাবেন। আইএএনএস জানিয়েছেন, মনে করা হচ্ছে, অজিত পাওয়ারকে,পদত্যাগ অথবা বুধবারের আস্থা ভোট থেকে বিরত থাকতে বলেন শরদ পাওয়ার।

সূত্র মারফৎ সংবাদসংস্থা জানতে পেরেছে, অজিত পাওয়ারের কাছে তিনদিনে পাঁচবার প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন শরদ পাওয়ার, তিনি জানেন, তাঁর চাপের মুখে নুইবেন ভাইপো অজিত পাওয়ার।  

 

গতমাসে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে অজিত পাওয়ার

শনিবার, দেবেন্দ্র ফডড়নবিশ এবং অজিত পাওয়ার শপথগ্রহণের পরেই, হাসান মুশরিফ, পরে জয়ন্ত পাতিল এবং তারওপরে সুনীল ততকারেকে বৈঠকের ব্যবস্থা করার জন্য অজিত পাওয়ারের কাছে পাঠান শরদ পাওয়ার।

রবিবার এবং সোমবারও ছগন ভুজবাল, এবং জয়ন্ত পাতিলকে অজিত পাওয়ারের কাছে তাঁকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার বার্তা পাঠান শরদ পাওয়ার।

Advertisement

তবে শেষবার যান শরদ পাওয়ারের ঘনিষ্ঠ নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল, যিনি অজিত পাওয়ারকে পদত্যাগে রাজি করাতে সফল হন।

মঙ্গলবার শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পর, ইস্ত্ফার সিদ্ধান্ত নেন অজিত পাওয়ার, তারপরেই ভেঙে পড়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশের চারদিনের সরকার।

Advertisement

সাংবাদিক সম্মেলনে, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অজিত পাওয়ারের ইস্ত্ফার পর, বিজেপির আর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকছে না, ফলে ইস্তফা দিচ্ছেন তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, বুধবার সম্প্রচারিত আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে বিজেপি সরকারকে।

Advertisement

( IANS এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে)

Advertisement