বসন্ত কাল এসেছে কিন্তু ‘ বসন্ত’ আসবেন না আর কোনওদিন
হাইলাইটস
- স্ত্রীকে কুয়াশার ছবি পাঠিয়ে ছিলেন নিহত সিআরপিএফ জওয়ান
- স্ত্রী বি সিনা জানান সকাল দশটা নাগাদ বসন্ত তাঁকে এই ছবি গুলি পাঠান
- দুই সন্তানকে একাই মানুষ করবেন বলে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন স্ত্রী
তিরুবনন্তপুরম: মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে স্ত্রীকে কুয়াশার ছবি পাঠিয়ে ছিলেন নিহত সিআরপিএফ জওয়ান ভি ভি ভি বসন্ত কুমার। স্ত্রী বি সিনা জানান সকাল দশটা নাগাদ বসন্ত তাঁকে এই ছবি গুলি পাঠান। সে সময় ফোনে কথাও হয় দু'জনের। জওয়ান জানিয়েছিলেন তিনি রাস্তায় আছেন। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছে যাবেন নিজের গন্তব্যে। এরপরই ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে আর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি স্ত্রী। চিন্তার মাঝেই আসে জওয়ানের মৃত্যু সংবাদ। কিছু দিন আগে নিজের বাবাকেও হারিয়েছেন সিনা। তাই দুই সন্তানকে একাই মানুষ করবেন বলে এনডিটিভিকে জানিয়েছেন তিনি।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দ্বারস্থ হয়েছে পরিবার। তাঁরা চান নিহত জওয়ানের স্ত্রীয়ের জন্য পাকা সরকারি চাকরি ব্যবস্থা করুক সরকার। কেরালার ভেটান্যারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইন্সটিউটের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করেন সীনা। গত তিন বছর ধরে সেখানে সহকারীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সেই চাকরিটি পাকা করে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
মৃত্যুর কয়েক দিন আগে বাড়ি ফিরেছিলেন বসন্ত মাস তিনেক বাদে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠানে আবার আসার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এখন আর তা হবে না। চিরতরে অতীত হয়ে গিয়েছেন তিনি। বসন্ত কাল এসেছে কিন্তু ‘ বসন্ত' আসবেন না আর কোনওদিন। পরিবারের সঙ্গে সঙ্গে গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে।
অনেকেরই স্মৃতিতে ফিরে আসছে ফেলে আসা সময়ের কথা। নিহত জওয়ানের বোন বসুমিতা বললেন তাঁদের শৈশবের কথা। ভাই- বোন একসঙ্গে স্কুলে যেতেন, খেলা ধুলো- এখন মনে পড়ে যাচ্ছে এই সবকিছুই। দাদা হিসেবে বোনের খেয়াল রাখতেন বসন্ত।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই তাঁর শেষকৃত্যে হাজির হয়েছিলেন। শেষকৃত্যে সেলফি তুলে বিতর্ক উস্কেও দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বিজেপির সাংসদ কে মুরলীধরন বলেছেন, দেশের জন্য জওয়ানের প্রাণ গিয়েছে। আমরা সকলে তাঁর পরিবারের পাশে আছি। পরিবারকে সব ধরনের সাহায্যও করা হবে। তাঁদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখা আমাদের দায়িত্ব।