This Article is From Oct 15, 2018

মায়েদের হাতেই পূজিত হচ্ছেন জগজ্জননী মা দুর্গা

সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন‌্যস্ত।

মায়েদের হাতেই পূজিত হচ্ছেন জগজ্জননী মা দুর্গা

এ বছরের মাতৃপ্রতিমা

কলকাতা:

যৌথ পরিবার নেই। তাতে কি! একসঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার স্বাদ এখন এনে দিচ্ছে শহরের আবাসনগুলো। বেশির ভাগ আবাসনেই ১০০ থেকে ২০০ বা ৪০০ পরিবারের এক সঙ্গে বাস। সারা বছরের পুজো পার্বণ অনুষ্ঠান ঘিরে অনবরত আবাসিকদের মধ্যে যোগাযোগ থেকেই যায়। আর সেই যোগাযোগের হাত ধরে আবাসনগুলোই হয়ে উঠছে পাড়া তথা যৌথ পরিবারের বিকল্প। আর আবাসনের পুজোতেই এখন পাওয়া যায় যৌথ পারিবারিক পুজোর মেজাজও। যেমন নরেন্দ্রপুর এলাকার আবাসন সাদার্ন নুকের দুর্গাপুজোর এ বার ১০ বছরে পা। তবে এই আবাসনের পুজোয় এ বার রয়েছে নতুন স্পেশ্যালিটি। এ বার মায়েদের হাতেই জগজ্জননীর পুজোর ভার ন‌্যস্ত।

iejdoin8

ঠাকুর আনা থেকে মায়ের ভোগ, পুজোর কাজ তো বটেই, আরও যা যা দায়িত্ব—সবই আবাসনের মহিলারা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। যার যার নিজের সংসার সামলেও সুযোগ পেলেই সকলে ছুটছেন পুজোমণ্ডপে। যতটা পারছেন সেরে রাখছেন পুজোর জোগার। আর সুচারূভাবে সব দায়িত্ব পালন করে দেখিয়েও দিয়েছেন আসলে সকল মেয়ের মধ্যেই কোথাও না কোথাও একজন দশভূজা জগজ্জননী বিরাজমান রয়েছেন।

84hgk9to

আবাসিকেরা জানালেন, শুধুমাত্র পুজোই নয়, চার দিন ধরে থাকে ভূরিভোজেরও আয়োজন। সকলে মিলে এক সঙ্গে পাত পেড়ে খাওয়া, হাসিমস্করা চলতেই থাকে। পাশাপাশি থাকে সাংস্কৃতিক নানা অনুষ্ঠান। এ বছর সপ্তমীর দিন থাকছে বিশেষ আয়োজন। সেখানে আবাসিকদের মধ্যে নানা প্রতিযোগিতা হবে। উলুধ্বনি দেওয়া, শঙ্খ বাজানো, ছোটদের ফ্যান্সি ড্রেস প্রতিযোগিতায় মেতে উঠবেন সকলে মিলে।

.