This Article is From Mar 27, 2020

দিল্লি থেকে বিহার, দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তিন শ্রমিকের বাড়ি ফেরার পথে পাশে দাঁড়াল পুলিশ

৮০০ কিলোমিটারের যাত্রার ধকল পেরিয়ে কি কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম চাই। এক শ্রমিকের জবাব, ‘‘না, আমরা ক্লান্ত নই। আমরা কেবল এগিয়ে যেতে চাই। আমাদের যেতে দিন।’’

দিল্লি থেকে বিহার, দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তিন শ্রমিকের বাড়ি ফেরার পথে পাশে দাঁড়াল পুলিশ

পুলিশ কর্মীরা ওই শ্রমিকদের থেকে জানতে চান, তাঁরা বিশ্রাম নিতে চান কিনা।

হাইলাইটস

  • ১,২০০ কিলোমিটার দূরত্ব পেরিয়ে ঘরে ফিরতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ওই তিনজন
  • পুলিশ তাঁদের সাহায্য করে
  • এক ইঞ্জিন লাগানো ভ্যান নি।এ গন্তব্য পেরোতে বদ্ধপরিকর তাঁরা
চান্দৌলি:

গত বুধবার থেকে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন (Lockdown)। ভিন রাজ্যে থাকা শ্রমিকদের পক্ষে এই সময়ে নিজেদের বাড়িতে ফেরাই এক বিরাট চ্যা‌লেঞ্জ হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ঘোষণার পরে গত তিনদিন ধরে দেশজোড়া এই লকডাউনের সময় ঘরে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের হৃদয় বিদারক নানা কাহিনি সামনে এসেছে। শয়ে শয়ে কিলোমিটার দূরে নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চেয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে এই সব শ্রমিকদের। তেমনই এক কাহিনির সন্ধান মিলল বিহারের সীমান্তবর্তী উত্তরপ্রদেশের চান্দৌলি জেলায়। দিল্লির তিন শ্রমিক ফিরছিলেন তাঁদের বাড়ি বিহারের মধুবনিতে। ওই তিনজনের নাম লালু মাহাতো, গোরেলাল মাহাতো ও তাঁদের এক পারিবারিক সদস্য।

একটা ভ্যানে পুরনো স্কুটারের ইঞ্জিন লাগিয়ে ১,২০০ কিলোমিটার দূরত্ব পেরিয়ে ঘরে ফিরতে চেয়েছিলেন ওই তিনজন। লখনউ থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে চান্দৌলিতে জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের খাবার সরবরাহ করা হল। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ তাঁদের সাহায্য করেছে বাড়িতে ফেরার ব্যাপারে।

লকডাউনে সবজির গাড়ি উল্টে দিল পুলিশ! ভিডিও ভাইরাল হতেই বরখাস্ত

মঙ্গলবারই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই তিন শ্রমিক। পুলিশ জানাচ্ছে, তাঁদের কাছে খাবার বা টাকা কিছুই ছিল না। বাস বন্ধ। সীমান্ত ‘সিল' করে দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় সেই ভ্যানে করেই বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছিলেন তিন জন।

মোবাইল ফোনে তোলা ক্লিপ থেকে দেখা যাচ্ছে, পুলিশকর্মীরা তাঁদের কাছে জানতে চাইছেন ৮০০ কিলোমিটারের যাত্রার ধকল পেরিয়ে ওই তিন শ্রমিকরা কি কয়েক ঘণ্টা বিশ্রাম নিতে চান। উত্তরে এক শ্রমিকের জবাব, ‘‘না, আমরা ক্লান্ত নই। আমরা কেবল এগিয়ে যেতে চাই। দয়া করে আমাদের যেতে দিন।''

"করোনাকে ভয় পেও না", সচেতনতায় গান লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

লালু মাহাতো সাংবাদিকদের জানাচ্ছেন, ‘‘যা টাকা ছিল আমাদের কাছে, সব ফুরিয়ে গিয়েছে। আর কোনও উপায় নেই। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এভাবে ভ্যানে করে ফেরার। আমরা তিনদিনেই যাত্রা সম্পূর্ণ করব। বড়জোর চার... কিন্তু আমরা পৌঁছবই।''

প্রসঙ্গত, লকডাউনের সময় পথে থাকা লোকজনের প্রতি পুলিশের ব্যবহার নিয়ে নানা সমালোচনা দেখা গিয়েছে। বাদাউন জেলায় এক পুলিশ কর্মী কয়েকজন ভিন রাজ্যের শ্রমিককে ‘শাস্তি' দেন পথে বেরনোর জন্য। সেজন্য শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চান সেখানকার পুলিশ প্রধান। এবার দেখা মিলল চারই উল্টো ছবির। পুলিশরা যথাসাধ্য সাহায্য করল ওই তিন শ্রমিককে।

বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুলিশ ও প্রশাসনকে নির্দেশ দেন, যাঁরা দূর রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন লকডাউনের মধ্যে, তাঁদের প্রতি আরও বেশি মানবিক হতে।

.