একটা সাদামাটা পপকর্ন, সেও প্রায় প্রাণ কেড়ে নিচ্ছিল এক ব্যক্তির! অ্যাডাম মার্টিন (Adam Martin) নামে এক ব্রিটিশ শখ করে পপকর্ন খাওয়ার সময় একটি দানা (Popcorn) তাঁর দাঁতে আটকে যায়, আর সেই থেকেই (Popcorn leads to infection) একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা! একেবারে প্রাণ যায় যায় আর কী! তাই সাবধান হোন আপনিও! জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ৪১ বছর বয়সী অ্যাডাম মার্টিন তাঁর পছন্দের পপকর্ন খেতে যান এবং তা দাঁতে আটকে যাওয়ায় সেটি বের করতে বিভিন্ন ধরণের সরঞ্জাম ব্যবহার করেন তিনি। তার ফলে হয় হিতে বিপরীত। ডেইলি মেল অনুসারে মার্টিনের দাঁতে ওই পপকর্নের টুকরোটি প্রায় তিন দিন ধরে আটকে ছিল। পেশায় দমকলকর্মী ওই ব্যক্তি সেটি বের করতে কলমের কোণা থেকে শুরু করে, টুথপিক, তারের টুকরো এমনকি একটি পেরেকও ব্যবহার করে তা বের করার চেষ্টা করেন। আর তারপরেই যাচ্ছেতাই অবস্থা হয়। আসলে ওভাবে তিনি দাঁত থেকে পপকর্ন বের করতে গিয়ে নিজের মাড়িরই ক্ষতি করে ফেলেন। খোঁচাখুঁচির ফলে তাঁর মাড়িতে সংক্রমণ ঘটে যা শেষ পর্যন্ত হৃৎপিণ্ডের সংক্রমণে পরিণত হয় চিকিৎসাশাস্ত্র অনুযায়ী যার নাম এন্ডোকার্ডাইটিস (endocarditis)। এই রোগ সাধারণত রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ব্যাকটিরিয়ার কারণে হয়।
"হে মাননীয়....": ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীকে কেন এইভাবে সম্বোধন পুলিশের?
ফক্স নিউজের মতে, অ্যাডাম মার্টিন এক সপ্তাহ পর একদিন রাতের দিকে অতিরিক্ত ঘাম, ক্লান্তি এবং মাথাব্যথা অনুভব করেন। অক্টোবরের মধ্যেই আরও নানা সমস্যা শুরু হয় তাঁর। অসুস্থ অবস্থায় তিনি একটি হাসপাতালে গেলে তাঁকে পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান যে, মাড়ি থেকে ছড়ানো সংক্রমণের কারণে তাঁর হৃৎপিণ্ডও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
"আমার তখন মনে হচ্ছিল যে আমি কী মারাত্মক ভুল করেছি I আমি প্রায় সবসময়ই ঘুমাচ্ছিলাম এবং আমি অত্যন্ত অসুস্থ বোধ করছিলাম", বলেন তিনি। "আমার পায়েও সাংঘাতিক ব্যথা ও যন্ত্রণা ছিল এবং আমি ঠিক বোঝাতে পারবো না যে আমার কী কী হচ্ছিল। আমাকে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সময় আমি খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েছিলাম", বলেন অ্যাডাম মার্টিন।
সপ্তাহে মাত্র চারদিন কাজ, প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর, অনলাইনে সমর্থনের বন্যা
সত্যিই ভাগ্য ভালো বলতে হবে ওই ব্রিটিশ ব্যক্তির। শেষপর্যন্ত চিকিৎসকরা মার্টিনকে বাঁচাতে সক্ষম হন। তাঁর পা থেকে সংক্রামিত রক্তের একটি জমাট বাঁধা অংশ বাদ দেওয়া হয় এবং তাঁর হৃৎপিণ্ডে একটি ভালভ প্রতিস্থাপন করতে হয়। এই জটিল অস্ত্রোপচারটি প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে হয়।
"আমি মৃত্যুর দরজা যেন দেখতে পাচ্ছিলাম। আমি অত্যন্ত ভাগ্যবান যে আমি শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গেছি", বলেন তিনি। তবে হ্যাঁ, এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে অ্যাডাম মার্টিন একথাও বলেছেন যে, "আমি বাবা আর কখনও পপকর্ন খাবো না"।