ফেসবুক থেকে জানা যায় অনীল উত্তরপ্রদেশের খুজরার এনইআরসি কলজের ছাত্র।
হাইলাইটস
- আপের অভিযোগ পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ
- দিল্লি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে
- ঘটনার নিন্দায় সরব হয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছে বিজেপি
নিউ দিল্লি: দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর চোখে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে দেওয়ার পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি। প্রথমত সচিবালয়ের অন্দরে লঙ্কার গুঁড়ো নিয়ে কী করে ঢোকা সম্ভব হল সেটাই এখনও স্পষ্ট নয়। আপের অভিযোগ পুলিশ, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। আরও বলা হচ্ছে আরবিন্দ কেজরিওয়াল যদি চশমা না পরে থাকতেন তাহলে তাঁর চোখ দুটোই নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু পুলিশ বলছে অন্য কথা। তাদের দাবি অনীল কুমার শর্মা নামে ঔই ব্যক্তি বলেছিলেন তাঁর এক আত্মীয় অসুস্থ। সে ব্যাপারে সাহায্য চাইতে সচিবালয়ে এসেছেন। আর তাঁকে ঢুকতে দেওয়ার জন্য পাবলিক গ্রিভান্স মনিটরিং সিস্টেম থেকে ফোনও এসেছিল বলে দাবি পুলিশের।
জানা গিয়েছে হামলার সময় নিজের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মধ্যাহ্নভোজ সারতে যাচ্ছিলেন অরবিন্দ। ঠিক সেই সময় অনীল তাঁর হাতে একটি চিঠি দেয় আর নিজে মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের কাছে চলে যায়। চিঠি হাতে নিয়ে খুলতে পেরেই আরবিন্দ বোঝেন তাঁর দিকে লঙ্কার গুঁড়ো ছোঁড়া হয়েছে। এরপর পুলিশ অনীলকে গ্রেফতার করে। কিন্তু তার নামে মামলা রুজু হয় বেশি রাতের দিকে। দিল্লির পুলিশের নিয়ন্ত্রণ আছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হাতে। আর তাই এই ব্যাপারে রাজনীতি দেখতে পাচ্ছে আপ শিবির।
ফেসবুক থেকে জানা যায় অনীল উত্তরপ্রদেশের খুজরার এনইআরসি কলজের ছাত্র। সে বিজেপির সমর্থক। শুধু তাই নয় তার ডানপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শের দিকটাও স্পষ্ট হয়েছে। বিভিন্ন পোস্টে সে লিখেছে আর বিন্দুমাত্র দেরি না করে রাম মন্দির নির্মাণ করতে হবে। তাছাড়া পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময়ও তাকে বলতে শোনা যায় ‘অরবিন্দকেজরিওয়াল বিশ্বাস ঘাতক। বিজেপি-ই আদতে প্রকৃত দেশ প্রেমিকদের দল।'
তবে এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি। দিল্লি বিজেপির সভাপতি মনোজ তিওয়ারি জানিয়েছেন এই ধরনের ঘটনা ঘটা কখনই কাম্য নয়। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া দরকার।