This Article is From May 07, 2020

নাইকু নিকেশে কীভাবে ফাঁদ পেতেছিল যৌথ বাহিনী? এনডিটিভিকে বললেন ডিজিপি

রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি, "উপত্যকা জুড়ে যে জঙ্গি-বিরোধী অভিযান, সেই অভিযানে বড়সড় সাফল্য নাইকুর মৃত্যু। যৌথবাহিনী আরও উৎসাহ পাবে জঙ্গি দমনে"

হিজবুল জঙ্গি রিয়াজ নাইকুকে হত্যা উপত্যকায় জঙ্গি দমন অভিযানে ভারতীয় সেনার বড় সাফল্য।

৩৬ ঘণ্টার দীর্ঘ অপারেশনের পর নিকেশ করা গিয়েছে মোস্ট ওয়ান্টেড হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি রিয়াজ নাইকুকে (Most wanted Riyaz Naiku)। দক্ষিণ কাশ্মীরে প্রায় ৮ ঘণ্টার দীর্ঘ অভিযানে এই সাফল্য এসেছে (Eliminated Hizbul Commander)। ৮ বছর ধরে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও সেনাবাহিনীর হিটলিস্টে ছিল এই সন্ত্রাসবাদী। দীর্ঘ এই অপেক্ষার পর কীভাবে সাফল্য এল, এনডিটিভিকে জানালেন জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের ডিজি দিলবাগ সিং (DGP of J&K)। তিনি বলেছেন, "হিজবুলের অভ্যন্তরীণ নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে নাইকুর ঘাঁটি সম্বন্ধে আমরা নিশ্চিত হয়েছিলাম। গত ১৫ দিন ধরে আমরা ২৪ ঘণ্টাই তার পিছনে লেগেছিলাম। শেষ ৩ দিন বাড়িয়েছিলাম নজরদারি। আমাদের সূত্র মারফৎ রিয়াজ নাইকুর উপস্থিতি সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়েই ওর ঘাঁটিতে অভিযান চালিয়েছিল যৌথ বাহিনী।" তিনি বলেছেন, "দীর্ঘ অপেক্ষা ও ধৈর্যের ফসল এই সাফল্য। এর আগে বহুবার হাতের কাছে পেয়েও, ও ফসকে গিয়েছিল। আমরা ওর ঘাঁটিতে গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে খালি হাতে ফিরে এসেছি।"   

বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনায় মৃত ১১, অসুস্থ ১,০০০ বলে খবর: ১০টি তথ্য

এরপর আমাদের সূত্র, গোয়েন্দা তথ্য, যৌথ বাহিনীর কৌশলের ওপর ভর করে গোটা অভিযান পরিচালনা করি।আমরা সঙ্কল্প নিয়েছিলাম ওকে নিকেশ না করে অভিযানে ইতি টানব না। এমনটা এনডিটিভিকে বলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। তিনি জানিয়েছেন, ওর ঘাঁটির নীচে একাধিক সুড়ঙ্গ আছে।সেই বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল ছিলাম। তাই ফের যাতে ফসকে যেতে না পারে, সেই বন্দোবস্ত করেছিলাম। ডিজি বলেন, "অত্যন্ত চতুর সন্ত্রাসবাদী ছিল রিয়াজ নাইকু। কিন্তু এবারের অভিযানে সেভাবে ওর থেকে প্রত্যুত্তর মেলেনি। গোটা রাত ছাদ থেকে ঘর আর ঘর থেকে ছাদে পালিয়ে বেড়িয়েছে সে। ভোরের দিকে ওর তরফ থেকে গুলির জবাব আসে। তারপরেই ওর ঘাঁটি গুরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার সকাল ৯-টায় নিকেশ করা হয় রিয়াজ নাইকুকে।" 

ভাইজ্যাগের পর এবার ছত্তিশগড়ে কাগজের মিলে গ্যাস লিক

রাজ্য পুলিশের ডিজির দাবি, "উপত্যকা জুড়ে যে জঙ্গি-বিরোধী অভিযান, সেই অভিযানে বড়সড় সাফল্য নাইকুর মৃত্যু। যৌথবাহিনী আরও উৎসাহ পাবে জঙ্গি দমনে।" জানা গিয়েছে, উপত্যকা জুড়ে ত্রাস ছড়িয়েছিল এই নাইকু। আখরোট, মেষ চাষিদের থেকে তোলা আদায়, রাজনৈতিক নেতাদের অপহরণের হুমকি এমনকি পুলিশ পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকির মতো অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের ওপর হামলা আর উপত্যকার স্থিতি নষ্ট করা মতো বিষয়ে যৌথ বাহিনীকে বেশ বেগ দিচ্ছিল এই হিজবুল কম্যান্ডার।    

.