Winter Diet: সকাল থেকে আপনার ডায়েট
কলকাতা: শীতকালে হাতের কাছে পাওয়া যায় নানান ধরনের সবজি ।ফুলকপি,বাঁধাকপি, গাজর, বিনস। নানান ধরনের শাক যেমন পালং শাক ও মটরশুটির মতো সবজি শীতকালে পাওয়া যায়। আর হাতের সামনে এমন সবজি পেলে খেতে কার না ভালো লাগে । তাই কখনও ফুলকপির ডালনা থেকে কপির পরোটা কিংবা গাজর দিয়ে তরকারি থেকে গাজরের হালুয়া, পালং শাক দিয়ে নানান ধরনের চটপটে খাবার আবার পালক পনীর যেমন খাওয়া হয়, মটর পনিরও তেমনই খাওয়া হয় চেটেপুটে। ঠিক তেমনই শীতের সময় নানান ধরনের ফল পাওয়া যায়। তার মধ্যে সবথেকে প্রিয় কমলালেবু। এছাড়াও আরও নানা রকমের ফল শীতকালে পাওয়া যায়। ঠান্ডা আর তার সঙ্গে নানান ধরনের ভাজাভুজি খাওয়া।সন্ধ্যেবেলা এসব না হলে চলে! আর সঙ্গে যদি হয় একটু চা বা গরম কফি! তাহলে তো কথাই নেই। তবে আহারে বাহারে শীতকালে হজমের সমস্যা থেকে নানান শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ভালো খাবো অথচ সুস্থ থাকব। তবে তা কেমন করে । সেই বিষয়ে পরামর্শ দিলেন ডায়েটিশিয়ান দীপিকা সিং।
দীপিকা সিং জানালেন সব কিছুই খাবেন তবে পরিমাণ মতো খান। আর অবশ্যই সময়ে জল খান। যেটা শীতকালে আমরা খুবই কম পরিমাণে খাই। প্রতি কুড়ি কেজি ওজনের জন্য এক লিটার করে জল দরকার। অর্থাৎ আপনার ওজন অনুযায়ী সেই ভাবেই জল খান।
সকাল থেকে আপনার ডায়েট কেমন হবে?
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে... ১..সকালে উঠেই যেকোনও বয়সের মানুষেরই লেবু জল খাওয়া উচিত। তাতে হজম ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের নানা রকম সমস্যা দূরে থাকে।
২.. তারপরেই জলখাবার দিন বাচ্চাদের ।তবে অবশ্যই আধঘন্টা পরে। রুটি সবজি বা যেকোন ধরনের খাবার দিতে পারেন ।স্প্রাউটস দিতে পারেন তবে, সঙ্গে অবশ্যই বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবারে রাখতে হবে প্রোটিন। ডিমের পোচ করে দিতে পারেন বা সেদ্ধ ডিম দিতে পারেন।
৩.. দুপুরের খাবারে ডাল, ভাত, সবজি শাক দিন। প্রোটিন যেন অবশ্যই থাকে মিলে। প্রত্যেক মিলের সঙ্গেই প্রোটিন রাখতে হবে। সঙ্গে দই দেবেন।
৪... প্রচুর পরিমাণে স্যালাড, বাচ্চা ,বড় সবাই খান তবে খাবার আধঘন্টা আগে স্যালাড খেয়ে নেওয়াই ভালো তাতে হজম ভালো হয়।
৫.. সপ্তাহে একদিন বাচ্চাদের লুচি বা কখনও কখনও নানান ধরনের স্যান্ডউইচ দিন। তবে প্রতিদিন ভাজাভুজি বাচ্চাদের কখনোই দেওয়া যাবে না।
৬.. ভালো ফ্যাট রয়েছে এই ধরনের বাদাম যেমন আখরোট ,যেমন আমন্ড ভিজিয়ে বাচ্চাদের দিন। শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে তা।
৭.. একটা বা দুটো করে ফল অবশ্যই দিন বাচ্চাদের রোজ। আমলকি ছোটবেলা থেকেই খাওয়ানো যেতে পারে। আমরা অনেকেই মনে করি যে কমলা লেবুর মধ্যে বোধায় ভিটামিন-সি সবথেকে বেশি রয়েছে। তা কিন্তু একেবারেই নয় আমলকির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে যা কমলালেবুর থেকেও অনেকাংশে বেশি। সেক্ষেত্রে আমলকি ছোট ছোট করে কেটে, আমলকি সেদ্ধ করে নানান ভাবে বাচ্চাদের খাওয়ালে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো।
বড়দের ক্ষেত্রে :
বড়দের ক্ষেত্রে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম করতে হবে। বয়স যত বাড়বে কার্বোহাইড্রেট কম করে শাকসবজি ফলমূল খান বেশি করে।
১..লেবু জল সকালে উঠে খান। তারপর আধঘন্টার একটা গ্যাপ দিন।
২.. সকালের খাবারে প্রোটিন রাখুন। রুটি তরকারি, মুড়ি জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
৩.. খাবার অল্প পরিমাণে খান। কিন্তু বেশি বার খান। ছোট ছোট মিল খান কিন্তু বেশি বার করে খেলে পেট খালি থাকবে না হজমের সমস্যা হবে না। শরীরও ভালো থাকবে। ভাত, রুটির পরিমাণ কমিয়ে দিন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে স্যালাড খান ।খাবার ঠিক আধঘন্টা আগে। আর জল পরিমাণ মতো খান। প্রতি কুড়ি কেজি ওজনে সারাদিনে এক লিটার করে জল প্রয়োজন। নিজের বয়সের হিসেবে ঠিক এই ভাবেই জল খান।
৪..আমলকি খান, নানান ধরনের ফল খান।হজমের সমস্যা থাকলে খাবার পরে ফল খান। তবে সন্ধ্যের পর ফল না খাওয়াই ভালো।
৫... বিদেশি ফলের দিকে না ছুটে ,দেশীয় ফল খান।
৬.. ওয়াটার অ্যালার্ম পাওয়া যায় সেটি ব্যবহার করে জল খান মনে করে।
৭..আমন্ড বা আখরোট ভিজিয়ে যেকোন একটা সময় খেয়ে নিতে পারেন।
তবে সবকিছু শুধু খাওয়ার ওপরই নির্ভর করে তা নয়। শীতকাল বা যেকোন সময় শরীর সুস্থ রাখতে হলে অ্যাক্টিভিটি বা শারীরিক কসরত করতে হবে। হালকা জগিং করতে পারেন। যোগাসন করতে পারেন তবেই শরীর সুস্থ এবং সচল থাকবে ।জানালেন ডায়েটিশিয়ান দীপিকা সিং।