টেক্সাসের হাউস্টনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
হাউস্টন: রবিবার টেক্সাসের হাউস্টনের (Houston) সমাবেশে জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) নিয়ে তাঁর সরকারের, কয়েক দশকের পুরানো বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং গতমাসে যে সমস্ত সাংসদরা, এই বিলটিকে অনুমোদন করেছিলেন, তাঁদের সম্মানে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শনে অনুরোধ করলেন তিনি। আমেরিকার শক্তির শহর, টেক্সাসে (Texas) হাউডি মোদি অনুষ্ঠানের সমবেত উল্লাশের মধ্যেই তিনি বলেন, “আমরা আরও একটি বিষয়কে বিদায় দিয়েছি, যা ৭০ বছরের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল...সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370)”। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উন্নয়ন ও অধিকার থেকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বাসিন্দাদের বঞ্ছিত করে রেখেছিল ৩৭০ ধারা। নিজেদের সুবিধার জন্য একে কাজে লাগিয়েছে সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। এখন জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের বাসিন্দারা প্রত্যেক ভারতীয়ের মতো সমান অধিকার পাবে”।
“আমার থেকে ভারতের ভাল বন্ধু কখনও ছিল না”, বললেন ট্রাম্প
গতমাসে রাষ্ট্রপতির নির্দেশিকার মাধ্যমে এই ঘোষণা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে “মহিলা ও দলিতদের প্রতি বৈষম্য দূর হবে”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ঘন্টার পর ঘন্টা এই পদক্ষেপটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমাদের সংসদের দুই কক্ষেই, সারা বিশ্বজুড়ে তা লাইভ সম্প্রচার হয়েছে। যদিও উচ্চকক্ষে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই, তাতেও দুই কক্ষেই, বিলটি দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পাশ হয়েছে”। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “আপি আপনাদের অনুরোধ করব, ভারতের সাংসদদের জন্য উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে”।
“২৬/১১, ৯ /১১ হামলাকারীদের কোথায় পাওয়া গিয়েছিল”, পাকিস্তানকে তোপ প্রধানমন্ত্রীর
দেশের নাম না করে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এই পদক্ষেপের বিরোধিতার জন্য পাকিস্তানের বিরুদ্দে তোপ দাগেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীর ইস্যু তুলে ধরেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “কিছু মানুষ এই পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তিত, যারা নিজেদের দেশ ঠিকমতো সামলাতে পারে না”। মার্কিন নেতা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে উল্লাশে ফেটে পড়েন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৫০,০০০ দর্শক।
“পরেরবার ট্রাম্পের সরকার”, হাউস্টনে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
গতমাসে, জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় সরকার, এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দিয়ে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করে। সরকারের বক্তব্য, এতে দেশের বাকি অংশের মতো সমান সাংবিধানিক সুবিধা পাবে সেখানকার বাসিন্দারা। কোনওরকম পরিস্থিতি এড়াতে, নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে উপত্যকা এবং রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতার ও অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, বন্ধ রাখা হয়েছে ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা।
কিছু কড়াকড়ি শিথিল করা হয়েছে, তবে কাশ্মীরে মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বন্ধ, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ বহু নেতা এখনও গৃহবন্দি।
গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, যত দ্রুত সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরে স্বাভাবিক জীবন ফেরাতে হবে সরকারকে। সোমবার ৪৯দিনে পড়ছে সেখানকার বনধ্ পরিস্থিতি, তার সমালোচনা করেছে বিরোধীরা।