প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত যা করছে, তা কিছু লোকের সমস্যা হচ্ছে, যারা নিজের দেশই সামলাতে পারে না”
নয়াদিল্লি: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের মাধ্যমে বৈষম্য ও সন্ত্রাসবাদকে দূর করার পদক্ষেপ করা হয়েছে, হাউস্টনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ (Donald Trump) বহু মার্কিন নেতাদের উপস্থিতিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi ) । প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সন্ত্রাসবাদ এবং যারা তাদের সমর্থন করে, তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত লড়াইয়ের সময় এসেছে”, পাকিস্তানকে প্রচ্ছন্ন সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি মনে করিয়ে দিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, ভারতের দিকেই রয়েছে আমেরিকা। হাউস্টনে বিশাল সমাবেশে রবিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একমঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, প্রথম ১০০ দিনের সাফল্য হিসেবে জম্মু ও কাশ্মীরের পদক্ষেপ তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা, আমেরিকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যস্থতার উত্তর বলেই মনে করা হচ্ছে।
“আমার থেকে ভারতের ভাল বন্ধু কখনও ছিল না”, বললেন ট্রাম্প
নয়াদিল্লি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর, ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এবং সম্প্রতি সেখানে যে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা রাজ্যের উন্নয়ন করার লক্ষ্যে, সেখানে বাড়ছিল সন্ত্রাসবাদ। পাকিস্তানের নিন্দা করে—রাষ্ট্রসংঘসহ বিভিন্ন জায়গায় কাশ্মীর ইস্যুকে নিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান—প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ভারত যা করছে, তাতে কিছু লোকের অসুবিধা হচ্ছে, যারা নিজের দেশই সামলাতে পারে না”।
পাকিস্তানের নাম না করে তিনি বলেন, তারা “ভারতের প্রতি ঘৃনা পুষে রেখেছে, সেটাই তাদের মূল নীতি। তারা সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, তারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দেয়”। তবে তিনি কারও নাম নেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমেরিকার ৯ /১১ হোক, বা মুম্বইয়ের ২৬/১১, এই হামলার চক্রান্তকারীদের কোথায় পাওয়া গিয়েছিল? শুধুমাত্র আপনারা নন, সারা বিশ্ব জানে, তারা কারা”।
“পরেরবার ট্রাম্পের সরকার”, হাউস্টনে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
৯ /১১ হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেন, ২০১১-এ প্রায় একদশক ধরে সন্ধান চালানোর পর, পাকিস্তানের আবোত্তাবাদে তাকে হত্যা করে আমেরিকা। মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার পরিকল্পনা এবং কার্যকর করা করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা”।
আমেরিকা সফরের শেষ দিনে, ২৭ সেপ্টেম্বর, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানে ভাষণ দেওয়ার কথা পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও, এবং সেখানে সরকারের জম্মু ও কাশ্মীরের পদক্ষেপের প্রসঙ্গ তুলে ধরবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “আমি জোর দিতে চাই যে, প্রেসিডেন্ড ট্রাম্প এই বিষয়ে কঠোরভাবে এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাঁর এই প্রচেষ্টার জন্য তাঁকে উঠে দাঁড়িয়ে সম্মান জানাতে চাই”।