এর আগে অসম ও পশ্চিমবঙ্গ এই ছাড় পেয়েছিল।
আগরতলা: বিপুল সংখ্যক শূন্যপদ পূরণ করতে শিক্ষক নিয়োগের কেন্দ্রীয় নীতিতে কিছুটা ছাড় পেতে পারে ত্রিপুরা। লিখিত পরীক্ষায় আবেদনকারীদের প্রাপ্ত নম্বর ও প্রশিক্ষণের ব্যাপারেই ছাড় পেতে পারে উত্তর পূর্বের এই রাজ্য।
এ ব্যাপারে মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকররে সঙ্গে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব। আর তার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষ পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগের নীতিতে কিছুটা শিথিলতা আনে কেন্দ্র সরকার। তবে মাত্র একবার আগে এই সুযোগ পাওয়া যায়। এর আগে অসম ও পশ্চিমবঙ্গ এই ছাড় পেয়েছিল। এবার ত্রিপুরা সেই সুবিধাই পেতে চলছে বলে খবর। এমন সম্ভবনার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ত্রিপুরা প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাও।
জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে জানিয়েছন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন বা এনসিটিই-র গাইড লাইন মানলে 12,222 শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না। খালি থেকে যাবে অনেক পদ।
শুধু মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীই নন দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রধান সচিব নৃপেন্দ্র মিশ্রর সঙ্গে দেখা করে একই কথা জানান ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের মতো ত্রিপুরাতেও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। 2009 সাল থেকে লাগু হওয়া এনসিটিই গাইডলাইন মেনে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি বলে কয়েক বছর আগে গোটা প্রক্রিয়াটাই বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বছরের বিধানসভা ভোটের অন্যতম ইস্যুই ছিল এ ব্যাপারটা। বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তাদের সরকার তৈরি হলে উদ্যোগ নেওয়া হবে। আর সে মতোই কাজ শুরু করল বিপ্লব দেবের সরকার।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)