Read in English
This Article is From Oct 06, 2018

মানুষেরই কর্মসংস্থান শেষ করছে মানব সদৃশ রোবট

কামিদ বলেন, “মানুষের মতো মুখ থাকলে, মানুষের মতো দেখতে হলে সেই রোবোট মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা সহজ, কারণ লোকেরা রোবটগুলি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তা বুঝতে পারবেন।"

Advertisement
ওয়ার্ল্ড

মানুষের সঙ্গে কথোপকথনে বাদামী চুলের সুন্দরী রোবট ইরিকা (এ এফ পি)

মাদ্রিদ :

দৈনন্দিন জীবনে রবটদের ব্যবহার মানুষের কর্মসংস্থান যে কমিয়ে দেবে এই নিয়ে সংশয় নেই। সম্প্রতি মাদ্রিদে হয়ে গেল ইন্টেলিজেন্ট রোবট বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। এই সম্মেলনেও মানুষের সঙ্গে কথোপকথন চালিয়ে গেল বাদামী চুলের সুন্দরী রোবট ইরিকা।

ইরিকা এবং তাঁরই মত অন্যরা হল রোবোটিক্স গবেষণার একটি প্রধান ফোকাস। মানুষের মতো দেখতে রোবট আমাদের জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠবে অচিরেই এমনটাই জানান ওই সম্মেলনে উপস্থিত গবেষকরা।

"আপনি প্রকল্প ব্যবস্থাপনার উল্লেখ করেছেন। আপনি কি আমাকে আরও একটু বিশদে বলতে পারেন?" এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেন ইরিকা, যিনি একজন নিয়োগকর্তার ভূমিকা পালন করছেন এখানে।

Advertisement

ইরিকা কথোপকথন নাও বুঝতে পারে, কিন্তু ওকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ও সেই মূল শব্দগুলো ধরে ফেলতে পারে। রোবটকে আরও মানুষের মতো দেখতে করা বা তাঁদের কাজ কর্ম আরও মানুষের মতো করে তোলা গেলেই তাঁরা মানুষের জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠবে সহজে। মানুষ আর রোবটের সম্পর্ক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে জাপানের মনোবিজ্ঞানী হিরোকো কামিদে বলেন, “আজ হোক বা কাল, রোবট আর মানুষ একই সঙ্গে বাঁচবে পৃথিবীতে।”

পরিবারে বা কর্মস্থলে রোবট ব্যবহার হল "বহুমুখী মেশিনের মতো যে আলাপচারিতা করতেও সক্ষম"। বিষয়টি যে কতখানি বিপজ্জনক হতে পারে তা নিয়েই কথা বলেন ফিলিপ সোর্স, ফ্রান্সের CNRS বৈজ্ঞানিক ইনস্টিটিউটের রোবোটিক্স বিভাগের প্রধান।

Advertisement

মানুষ, কিন্তু আবার অতখানিও মানুষ নয়! কোন অজানা বা বলা ভালো প্রোগ্রামিং না করা কাজ করতে রোবট পারবে না। তাঁরা কাজ বন্ধ করে দেবে। এই কারণে মানুষ “মানব দেহের মতো মলিকিউলার সিস্টেম সম্পন্ন” রোবট বেশি পছন্দ করছেন। উদাহরণস্বরূপ, অল্টাস, বস্টন ডাইনামিক্স দ্বারা তৈরি একটি হিউম্যান রোবট, বিভিন্ন ধরণের পৃষ্ঠতলের উপর দৌড়াতে পারে।

কামিদ বলেন, “মানুষের মতো মুখ থাকলে, মানুষের মতো দেখতে হলে সেই রোবোট মানুষের পক্ষে গ্রহণ করা সহজ, কারণ লোকেরা রোবটগুলি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তা বুঝতে পারবেন।"

Advertisement

জাপানি গবেষক মাশাহিরো মরির "ভুতুড়ে উপত্যকার" তত্ত্ব তৈরি হয় 1970 সালে।রোবটের শারীরিক প্রতিক্রিয়া আমাদের পরিচিত হলে তবেই আমরা ইতিবাচকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাই, কিন্তু যদি তাঁরা যদি বড্ড বেশি আমাদের মতোই দেখতে হয়ে যায় তবে তা আমাদের বিরক্তির কারণ।

মাদ্রিদের কার্লোস তৃতীয় ইউনিভার্সিটির রোবোটিক্স ল্যাবের একজন অধ্যাপক মিগুয়েল সেলিচ বলেন, "আপনি কখনোই নিখুঁত মানব মুখ তৈরি করতে পারবেন না এবং এই অসম্পূর্ণতা মানুষের মধ্যে "প্রত্যাখ্যান" এর আবেগকে উদ্দীপিত করে।”

Advertisement

জাপানে, ইরিকা মতো রোবট ইতিমধ্যেই রিসেপশনিস্টের কাজে ব্যবহার করা হয়। প্রস্তুতকারকদের মধ্যে অন্যতম, হিরোশি ইশিগুরো, ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলেন,  হিউম্যানোডগুলি "মানুষের বোঝার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার"।

Advertisement