Read in English
This Article is From Jun 22, 2019

হাসপাতাল সংলগ্ন জঙ্গলে মানুষের কঙ্কাল উদ্ধারে চাঞ্চল্য

দু-একটি দেহ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়, বাকি বেশীরভাগই জমিতে পড়ে ছিল, বা জঙ্গলে বস্তাবন্দি অবস্থায় পড়ে ছিল।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

কঙ্কালগুলি পোড়ানো বা কবর দেওয়া হয় নি।

Highlights

  • বেশীরভাগ কঙ্কাল জমিতে ছড়িয়ে, বস্তায় রাখা ছিল
  • হাসপাতাল সংলগ্ন জঙ্গলে কঙ্কালগুলি উদ্ধার হয়
  • পড়ে থাকা কঙ্কালগুলি পোড়ানো বা কবর দেওয়া হয় নি
মুজফ্ফরপুর:

হাসপাতাল সংলগ্ন জঙ্গলে খোলা জায়গায় মানুষের কঙ্কাল ছড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেল। বিহারের মুজফ্ফরপুরে থাবা বসিয়েছে এনকেফেলাইটিস। সেখানকার শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এনকেফেলাইটিসের বহু রোগীই। ওই হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকাতেই মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শনিবার ঘটনাস্থলে যান হাসপাতালের তদন্তকারী দল ও পুলিশ আধিকারিকরা। হাসপাতালের তরফে ডাঃ বিপিন কুমার বলেন, “এখানে কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছে। বিস্তারিত তথ্য জানাবেন অধ্যক্ষ”। দু-একটি দেহ পোড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়, বাকি কঙ্কালগুলির বেশীরভাগই জমিতে পড়ে ছিল, বা জঙ্গলে বস্তাবন্দি অবস্থায় পড়ে ছিল।

হাসপাতালের কেয়ারটেকার জনক পাশোয়ান সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেন, “ময়নাতদন্তের পর, সমস্ত দেহ পাশ্ববর্তী জঙ্গলে ফেলা হয়। এই কঙ্কালগুলি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমার কোনও কথা হয় নি”।

পড়ে থাকা দেহগুলি পোড়ানো বা কবর, কোনওটাই হয় নি।

Advertisement

সংবাদসংস্থা এএনআইকে সুপারিটেনডেন্ট এসকে সাহি বলেন, “মৃত দেহের রক্ষাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকে ময়নাতদন্ত বিভাগ। যদি দেহগুলি খোলা জায়গায় ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে থাকে, তাহলে তা সত্যিই অমানবিক। তাদের বিভাগীয় প্রধানকে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য বলব আমরা”।

শবদেহের শেষকৃত্য করা ময়নাতদন্ত বিভাগের কাজ

যখন হাসপাতালের কাছে কোনও মৃতদেহ আসে, সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় থানায় এ নিয়ে একটি রিপোর্ট করাতে হয়। রিপোর্ট করানোর পর থেকে ৭২ ঘন্টা দেহ রাখা থাকে, মর্গে।

এসকে সাহি জানান, ৭২ ঘন্টার মধ্যে যদি মৃতের পরিবারের তরফে কেউ দেহ সনাক্ত করতে না আসেন, তাহলে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সেই মৃত দেহের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা ময়নাতদন্ত বিভাগের দায়িত্ব।

Advertisement
Advertisement