এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
মানুষ পাচারের (human trafficking) অন্যতম পুরনো অথচ বর্তমান পন্থাই হল বিয়ে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে, অথবা বিয়ে করেই মহিলাদের অন্যত্র বেচে (trafficking of brides) দেওয়ার পরিচিত এই কায়দা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে পাকিস্তানে। পাক কর্তৃপক্ষ ক্রমবর্ধমান এই মানব পাচারের তদন্তে নেমে একটি যৌনবৃত্তির চক্রের ১২ জন সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এই দলের সদস্যরা পাক তরুণীদের চীনে পাচার করত। গ্রেফতার হওয়া এই ব্যক্তিদের মধ্যে আট জন চীনের নাগরিক ও চারজন পাকিস্তানের। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (FIA) শীর্ষ কর্মকর্তা জামিল আহমেদ বলেন, “পাকিস্তানি নারীদের চীনে পাচার করে তাঁদের দিয়ে পতিতাবৃত্তির কাজ করানোর খবর আমাদের কানে আসার পরেই এই গ্যাংয়ের উপর নজর রাখছিলাম আমরা।" তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি গ্যাং এই কাজ করে। প্রধানত পাকিস্তানি খ্রিস্টান সংখ্যালঘু মানুষই এদের লক্ষ্যবস্তু।
১২৬ ঘণ্টা ধরে টানা নাচলেন কিশোরী! নয়া গিনেস রেকর্ড নেপালের বন্দনার
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (Human Rights Watch) এক সপ্তাহ আগেই জানিয়েছিল, চীনের পাক নারীদের পাচারের সাম্প্রতিক রিপোর্ট যা, তাতে পাকিস্তানকে সতর্ক হওয়া উচিত। এর পরেই জারি হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। এটি আরও জানায়, কমপক্ষে পাঁচটি এশীয় দেশ থেকে চীনে ‘বউ' পাচারের ঘটনা ক্রমে বাড়ছে। ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাসও অবৈধ, সীমান্ত পারাপার করে বিয়ে দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, মানব পাচারের বিষয়টিও সামনে এনেছেন তাঁরা। গত মাসে দূতাবাস জানায়, অবৈধভাবে এই বিয়ে দেওয়ার জন্য চীন পাকিস্তানের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সাথে সহযোগিতা করছে।
এই সব মহিলাদের যে তাঁদের অঙ্গ বিক্রির জন্য পাচার করে দেওয়া হচ্ছে এই বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। আহমেদ জানান, গত সপ্তাহে ফয়সালাবাদ শহরের পূর্বদিকের একটি শহরে একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে পুলিশ হানা দিলে তদন্তে অন্য মোড় উঠে আসে।
একদিনের রাজা! আইএসসিতে দেশে চতুর্থ হয়ে বাবার ‘বস' হলেন কলকাতার এই ছাত্রী
তিনি জানান, একজন খ্রিস্টান মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল সেটি। অনুষ্ঠানে চীনের একজন পুরুষ ও একজন মহিলাকে এবং একজন ভুয়ো পাদরিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আহমেদ বলেন, “ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা স্বীকার করেছে যে তারা কমপক্ষে ৩৬ জন পাকিস্তানী মেয়েকে চীনে পাঠিয়েছেন তাঁরা, চীনে তাঁদের পতিতাবৃত্তির জন্যই ব্যবহার করা হয়।” তিনি জানান, পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের বিভিন্ন জেলাতেই এই খ্রিস্টানদের বসবাস।