This Article is From Apr 09, 2020

সবার ওপর মানবতা সত্য! বৃদ্ধের শেষযাত্রায় মৃতদেহ কাঁধে মুসলিম পড়শিরা

লকডাউনের আবহেই সম্প্রীতির নজির গড়ল মালদার কালিয়াচক। প্রয়াত বৃদ্ধের শেষযাত্রায় কাঁধ দিলেন মুসলিম যুবকরা।

সবার ওপর মানবতা সত্য! বৃদ্ধের শেষযাত্রায় মৃতদেহ কাঁধে মুসলিম পড়শিরা

দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য কালিয়াচক-২ ব্লকের লওয়াইতলা গ্রামের প্রতি কৃতজ্ঞ মৃতের দুই ছেলে. (ছবি প্রতীকী)

মালদা:

লকডাউনের আবহেই সম্প্রীতির নজির গড়ল মালদার কালিয়াচক (WB, Maldah)। প্রয়াত বৃদ্ধের শেষযাত্রায় কাঁধ দিলেন মুসলিম (Muslim Youths) যুবকরা। এখানেই গল্প শেষ নয়, পিকচার এখনও বাকি। 'বল হরি, হরি বল' মন্ত্র জপে, ১৫ কিমি হেঁটে শ্মশান  পর্যন্ত বন্ধুর বাবার দেহ পৌঁছে দিলেন সেই মুসলিম যুবকরা। মানবতার ওপর কোনও ধর্ম নয়, এই বার্তা দিয়েই সম্পন্ন হল মৃত নবতিপর বৃদ্ধ বিনয় সাহার শেষকৃত্য । এহেন দুঃসময়ে পাশে থাকার জন্য কালিয়াচক-২ ব্লকের লওয়াইতলা গ্রামের প্রতি কৃতজ্ঞ মৃতের দুই ছেলে কমল ও শ্যামল সাহা। জানা গিয়েছে, লকডাউন এবং সংক্রমণের আবহে মৃতদেহের সৎকার কীভাবে হবে, এই নিয়ে সাহা পরিবারের উদ্বেগ বাড়ে। আত্মীয়-স্বজনদের কাছে খবর পৌছলেই, বন্ধ পরিবহণ। ফলে সৎকার নিয়ে একটা অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়। শববাহী খাটের ওপরে সারাদিন পড়ে থাকে সেই দেহ। এরপর রাত বাড়লেই ধীরে ধীরে জমায়েত শুরু করেন পড়শিরা। 

২৪ ঘন্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১২, মোট আক্রান্ত বেড়ে ৮৩

জানা গিয়েছে, মুসলিম অধ্যুষিত ওই গ্রামে একমাত্র হিন্দু, সাহা পরিবার। গত ২০ বছর ধরে থাকছেন লওয়াইতলা গ্রামে। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদ থাকলেও, পড়শিদের সঙ্গে আত্মিক যোগ তৈরি হয় সেই পরিবারের। ফলে শেষযাত্রাতেও সেই ধর্মীয় বিভেদ ভুলে পড়শির পাশে এসে দাঁড়ায় গোটা গ্রাম। শুধু মানবিকতার খাতিরে! এমনটাই জানিয়েছেন সেই গ্রামের সাদ্দাম শেখ। তিনি বলেন, "আমরাই প্রথম বিনয় সাহার মৃত্যুর খবর পাই। তাই পড়শি হিসেবে নিজেদের কর্তব্য করতে এগিয়ে আসি। মানবতার ওপরে কোনও ধর্ম নেই। সেটাই আমরা বলতে চেয়েছি।" এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রাজিয়া বিবি। তিনি বলেছেন, "আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস পৃথক হলেও, আমরা একসঙ্গেই আছি।"

‘‘জীবন একই রকম থাকবে না'': ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সময় বাড়াল ওড়িশা

মৃতের ছেলে শ্যামল সাহা বলেছেন, "বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগে মৃত্যু হয় বাবার। শেষকৃত্য নিয়ে আমরা বেশ উদ্বেগে পড়ি। লকডাউনের কোনও আত্মীয় আসতে পারবেন না। এটা ভেবে ভেব সময় পেরিয়ে যায়। তখনই পড়শিরা এগিয়ে আসেন আর রীতি মেনেই শেষকৃত্য করতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন।" 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.